পুঁজিবাজারে বড় দরপতন

বড় দরপতন হয়েছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 March 2019, 11:51 AM
Updated : 18 March 2019, 11:56 AM

চলতি সপ্তাহের প্রথম কার‌্যদিবস সোমবার প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫১ পয়েন্ট কমেছে।

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসনই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ২০৬ পয়েন্ট।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যয়, গত ৩৪ কার‌্যদিবসে ডিএসইএক্স ৩৪৫ পয়েন্ট কমেছে।

২৪ জানুয়ারী এই সূচক ছিল ৫ হাজার ৯৫০ পয়েন্ট। পড়তে পড়তে সোমবার তা  ৫ হাজার ৬০০ পয়েন্টে নেমে এসেছে।

জাতীয় নির্বাচনের আগে ১৭ ডিসেম্বর থেকে বাজারে ইতিবাচক ধারা লক্ষ্য করা যায়। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাজার বেশ চাঙ্গাভাবে ফিরে আসে।

লেনদেন বাড়তে বাড়তে ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকায় গিয়ে ঠেকে।

কিন্তু ৩০ জানুয়ারি জানুয়ারি-জুন মেয়াদের মুদ্রানীতি ঘোষণার পর থেকেই বাজারে মন্দা চলছে। লেনদেন ৫০০ কোটি টাকার নীচে নেমে এসেছে।

ক্ষোভ-হতাশা বিরাজ করছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। নতুন সরকারকে ঘিরে বাজারে আস্থা ফিরে আসার যে আভাস পাওয়া যাচ্ছিল তা আর এখন নেই।

মারুফ আহমেদ নামের এক বিনিয়োগকারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফার ডটকমকে বলেন, “সোমবার বাজারে একটা বড় ধরনের ধস হয়েছে। আমাদের অনেক টাকা চলে গেছে।আমরা বিপদে পরে গেছি।”

বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন,“একট বড় পতন হয়েছে। কিন্তু কোন কারণ খুঁচে পাচ্ছি না আমরা। আশা করি খুব দ্রুত বাজার ঘুরে যাবে।”

শাকিল রিজভী (ফাইল ছবি)

বাজার বিশ্লেণ করতে গিয়ে ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ডিএসইর প্রধান সূচক ছিল ৫ হজার ৩০০ পয়েন্ট। এক মাসে সেই সূচক ৬৫০ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৯৫০ হয়েছিল।

“সেখান থেকে একটা কারেকশন হচ্ছে। বেশি বেশি বোনাস শেয়ার আসছে বাজারে; প্লেসমন্টে শেয়ার আসছে। মোট কথা, শেয়ারের অনেক যোগান; কিন্ত চাহিদা নেই। তাই সূচক কমছে।”

বাজার পরিস্থিতি

সোমবার ডিএসইতে ৪৭৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের এই অংক গত সপ্তাহের শেষ কার‌্যদিবস বৃহস্পতিবারের চেয়ে ১০৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা কম।

বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৫৮৫ কোটি টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছিল।

লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩৪৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪২টির, কমেছে ২৭৯টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টি কোম্পানির শেয়ার দর।

ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্য সূচক ৫০ দশমিক ৯১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৬০৪ দশমিক ৯০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৯ দশমিক ৮১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ২৮৩ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ৫ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ১৭ পয়েন্টে।

অন্যদিকে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২০৫ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৭ হাজার ১৪৫ দশমিক ২৫ পয়েন্টে।

অন্যদিকে সিএসইতে ১৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এই লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ৪ কোটি ২ লাখ টাকা কম।

লেনদেন হয়েছে ২৩১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এরমধ্যে দর বেড়েছে ২৬ টির, কমেছে ১৯১ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টির।