ফের দরপতনের ধারায় পুঁজিবাজার

ফের দরপতনের ধারায় ফিরেছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Feb 2019, 11:54 AM
Updated : 11 Feb 2019, 11:59 AM

জাতীয় নির্বাচনের কয়েক দিন আগে থেকে বাজারে ইতিবাচক ভাব লক্ষ্য করা যায়। নতুন সরকার গঠনের পর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসে; বাড়তে থাকে বাজার।

প্রতিদিনই মূল্যসূচক বাড়তে থাকে বাজারে। লেনদেনও হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়।

কিন্তু ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) মেয়াদের মুদ্রানীতি ঘোষণার পর থেকেই বাজারে ফের পতন শুরু হয়।

নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণার পর মোট সাত দিন লেনদেন হয়েছে বাজারে। এরমধ্যে পাঁচ দিনই সূচক পড়েছে। বেড়েছে দুই দিন; তাও সামান্য।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভোটের আগে ২০১৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর থেকে বাজারে সূচক বাড়তে থাকে।

ঐ দিন প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছিল ৫ হাজার ২১৮ পয়েন্ট।

টানা বাড়তে বাড়তে ২৪ জানুয়ারি সেই সূচক ৫ হাজার ৯৫০ পয়েন্টে গিয়ে উঠে। এরপর থেকেই সূচক পড়তে শুরু করে।

এই কয় দিনের প্রতিদিনই হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে ডিএসইতে।

ডিএসইর তথ্য পর‌্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি পর‌্যন্ত ডিএসইএক্স ৭৩২ পয়েন্ট বেড়েছিল।

আর চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে সেই সূচক ১৫০ পয়েন্ট কমে সোমবার ৫ হাজার ৭৩৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন নেমে এসেছে ৭১৯ কোটি টাকায়।আগের দিন রোববারও এই বাজারে ৮১২ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছিল।

বাজার বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ডিএসইর শেয়ারহোল্ডার পরিচালক রকিবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,”পুঁজিবাজারে মাঝখানে কারসাজি করে খারাপ শেয়ারের দাম বাড়ানা হয়েছিল।তারা সেইসব খারাপ শেয়ার ইতোমধ্যেই বিক্রি করে দিয়ে মোটা অঙ্কের মুনাফা করে বের হয়ে গেছে।”

“এখন বাজারে শেয়ার কেনার মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে কমছে সূচক; লেনদেনও নেমে যাচ্ছে।

“একটা অদ্ভুত বাজার আমাদের। এখানে ভাল শেয়ারের দাম বাড়ে না; বাড়ে খারাপ শেয়ারের দাম।এটা ঠিক করতে হলে পুঁজিবাজরের আইনকানুন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে,” বলেন রকিবুর রহমান।

সোমবার ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৭৩৩ পয়েন্টে। অন্য সূচকের মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩১১ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ২১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩ পয়েন্টে।

সোমবার ডিএসইতে ৩৪৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৫ শতাংশ বা ১৫৫টির, কমেছে ৪৩ শতাংশ বা ১৫১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১২ শতাংশ বা ৩৯টির।

অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৭ হাজার ৫৭৪ পয়েন্টে।

লেনদেনে অংশ নিয়েছে ২৬৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩০টির, কমেছে ১০৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির।