নতুন মুদ্রানীতিতে তেমন কোন পরিবর্তন না হলেও এর আতঙ্কেই সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার বাজারে বড় দরপতন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
৩০ ডিসেম্বর ভোটের পর ভালই যাচ্ছিল বাংলাদেশের পুঁজিবাজার। প্রায় প্রতিদিনই সূচক বাড়ছিল; বাড়ছিল লেনদেন।
কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৮-১৯ অর্থবছরের দ্বিতিয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) ঘোষণার পরের দিন বৃহস্পতিবার প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৬৩ পয়েন্টের বেশি। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ২০৪ পয়েন্ট।
বাজার বিশ্লেষক ডিএসইর সদস্যদের সংগঠন ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি আহমেদ রশীদ লালী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নতুন মুদ্রানীতি নিয়ে সব সময়ই পুঁজিবাজারে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করে। এবারও তাই হয়েছে; সে কারণেই শেয়ার বিক্রির চাপে মূল্যসূচক কমেছে।
“বিনিয়োগকারীরা মনে করে নেতিবাচক কিছু পুঁজিবাজারের জন্য মুদ্রানীতিতে চলে আসে কিনা। সে কারণেই আতঙ্কে থাকেন তারা।”
‘তবে বুধবার নতুন যে মুদ্রানীতি ঘোষিত হয়েছে সেটা আগের মুদ্রানীতি থেকে তেমন কোন পার্থক্য দেখা যাচ্ছে না। শুধু একটা জায়গা ছাড়া সেটা হচ্ছে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ খুবই সামান্য কমিয়ে ধরা হয়েছে। সেটাতে পুঁজিবাজারে কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়ার কথা নয়।”
বাজার পরিস্থিতি
বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন কমলেও বেড়েছে সিএসইতে। ঢাকায় লেনদেন হয়েছে ৯৯২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। বুধবার এই বাজারে লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ২৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
সিএসইতে হাতবদল হয়েছে ৩৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। বুধবার লেনদেন হয়েছিল ৩১ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার ডিএসইএক্স সূচক ৬৩ দশমিক ১০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৮২১ দশমিক ০১ পয়েন্টে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১৩ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩১০ দশমিক ৫৯ পয়েন্টে ।এস৩০ সূচক ২৩ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭ দশমিক ৯৬ পয়েন্টে।
বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৩৪৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৪ টির, কমেছে ২৩৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬ টির দর।
অন্যদিকে সিএসইতে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২০৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৭ হাজার ৮৯০ দশমিক ৯২ পয়েন্টে।
লেনদেনে অংশ নিয়েছে ২৬৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৮টির, কমেছে ১৭৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯ টির দর।