মুদ্রানীতি ঘোষণার দিন সূচক পড়ল পুঁজিবাজারে

মুদ্রানীতির ঘোষণার দিন মূলসূচক কমেছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Jan 2019, 11:50 AM
Updated : 30 Jan 2019, 11:50 AM

সপ্তাহের চতুর্থ দিন বুধবার প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪০ পেয়েন্টের বেশি।

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে প্রায় ১০০ পয়েন্ট।

তবে বিক্রির চাপে দুই বাজারেই লেনদেন বেড়েছে।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন মুদ্রানীতি নিয়ে সব সময়ই পুঁজিবাজারে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করে। এবারও তাই হয়েছে; সে কারণেই শেয়ার বিক্রির চাপে মূল্যসূচক কমেছে।  

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, মঙ্গলবার ডিএসইর প্রধান সূচক ২০ পয়েন্টের মতো বেড়ে ৫ হাজার ৯২৪ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে অবস্থান করে।

প্রতিদিনের মতো সকাল সাড়ে ১০টায় পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়। শুরুতে উর্ধ্বমুখি প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। বেলা ১১টার দিকে ডিএসইএক্স প্রায় ২০ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৯৪৪ পয়েন্টে উঠে।

সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) মুদ্রানীতি ঘোষণা শুরু করেন।

এরপর থেকেই সূচক পড়তে থাকে। শেষ পর‌্যন্ত ডিএসইএক্স ৪০ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট কমে লেনদেন শেষ হয়।

ডিএসইর সদস্যদের সংগঠন ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি আহমেদ রশীদ লালী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,“ মুদ্রাবাজার নিয়ে হচ্ছে মুদ্রানীতি। আসলে মুদ্রানীতির একদম সরাসরি কোনো প্রভাব পুঁজিবাজারে থাকে না। কিন্তু তারপরও দেখা যায়, যখন মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয় তখন পুঁজিবাজারটা কিছুটা সেইকি থাকে বা বলা যায় পুঁজিবাজারে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করে। শেয়ারের দাম কিছুটা কমে যায়।”

“বিনিয়োগকারীরা মনে করে নেতিবাচক কিছু পুঁজিবাজারের জন্য মুদ্রানীতিতে চলে আসে কিনা। সে কারণেই আতঙ্কে থাকেন তারা।”

‘তবে বুধবার নতুন যে মুদ্রানীতি ঘোষিত হয়েছে সেটা আগের মুদ্রানীতি থেকে তেমন কোন পার্থক্য দেখা যাচ্ছে না। শুধু একটা জায়গা ছাড়া সেটা হচ্ছে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ খুবই সামান্য কমিয়ে ধরা হয়েছে। সেটাতে পুঁজিবাজারে কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়ার কথা নয়।”

বাজার পরিস্থিতি

বুধবার ডিএসইতে ১ হাজার ২৪ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের এই অংক মঙ্গলবারের চেয়ে  ৭৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা কম।

মঙ্গলবার এই বাজারে লেনদেন হয়েছিল ৯৪৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।

লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩৪৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০২টির, কমেছে ২১৩টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টি কোম্পানির শেয়ার দর।

ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্য সূচক ৪০ দশমিক ৪২ দশমিক ৪২ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৮৮৪ দশমিক ১১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৭ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ৩২৪ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ ১৪ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ৩১ পয়েন্টে।

অন্যদিকে সিএসইতে ৩১ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এই লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা কম।

লেনদেন হয়েছে ২৭৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮২ টির, কমেছে ১৬৯ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির দর।