চাঙ্গা পুঁজিবাজার: টানা ৯ দিন সূচকে ঊর্ধ্বগতি

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে চাঙ্গাভাব অব্যাহত রয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Jan 2019, 11:11 AM
Updated : 2 Jan 2019, 12:11 PM

জাতীয় নির্বাচনের কয়েক দিন আগে থেকেই বাজারে অল্প অল্প সূচক বাড়তে শুরু করে।

ভোটের পর সূচক বাড়ছে বেশ গতিতে।

প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দুই দিনেই বেড়েছে ১৩২ পয়েন্ট।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে পুঁজিবাজারে সূচক বাড়তে শুরু করে।   শুরু হয়। ঐ দিন ডিএসইতে ডিএসইএক্স ছিল ৫ হাজার ২১৮ পয়েন্ট।

এরপর টানা নয় কার‌্যদিবসে ডিএসইএক্স ২৭৮ পয়েন্ট বেড়ে বুধবার ৫ হাজার ৪৯৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সাপ্তাহিক ছুটি, জাতীয় নির্বাচন এবং ব্যাংক হলিডের কারণে ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর টানা চার দিন (শুক্রবার থেকে সোমবার) পুঁজিবাজার বন্ধ ছিল।

বছরের একেবারে শেষে এসে ৩০ ডিসেম্বর যে ভোট হয়েছে, তাতে আরও পাঁচ বছর দেশ শাসনের সুযোগ পেয়েছে গত এক দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ। ‘সমৃদ্ধির পথে অগ্রযাত্রা’ অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ছিল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের ইশতেহারের মূল কথা।

৩০ ডিসেম্বরের ভোটের পর পুঁজিবাজারে প্রথম লেনদেন হয় মঙ্গলবার। ঐদিন সূচক বেড়েছিল ৮০ পয়েন্টের মতো। বুধবার বেড়েছে ৩১ পয়েন্টের বেশি।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি শাকিল রিজভী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভোটকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের আতঙ্ক-শঙ্কা ছিল। সবকিছু কাটিয়ে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ফের ক্ষমতায় আসায় বাজারে চাঙ্গাভাব দেখা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। দেশের আরও উন্নয়ন হবে। পদ্মা সেতুসহ যে সব বড় বড় প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে সেগুলো শেষ হবে।

“বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে এসেছে। এ আস্থা উন্নয়নের প্রতি; শেখ হাসিনার প্রতি। আর এ আস্থার কারণেই ভোটের পর প্রথম লেনদেনেই তেজিভাব দেখা দেয় বাজারে। বুধবারও তা অব্যাহত ছিল।”

‘আগামী দিনগুলোতে বাজার আরও ভালো হবে’ জানিয়ে তিনি বলেন, “অনেক শেয়ারের দর একেবারে তলানীতে…। সেগুলোর দাম বাড়তে শুরু করলে বাজার গতি পাবে।”

বুধবার ডিএসইতে ৬৯৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের এই অংক মঙ্গলবারের তুলনায় ১৬৬ কোটি ২৮ লাখ বেশি।

লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩৪৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২২৫টির, কমেছে ৮০টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টির শেয়ার দর।

ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্য সূচক ৩১ দশমিক ১৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৪৯৬ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৪ দশমিক ০০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ২৪৯ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ৪ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ৯১২ পয়েন্টে।

অন্যদিকে সিএসইতে ৩০ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এই লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা বেশি।

সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩৩ দশমিক ১৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৬ হাজার ৮৬৩ দশমিক ৯৯ পয়েন্টে।

লেনদেন হয়েছে ২৫৯টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৮১ টির, কমেছে ৫২ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির দর।