বড় দরপতনে কেপিসিএলের লেনদেন শুরু

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানি খাতের কোম্পানি খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (কেপিসিএল) শেয়ার লেনদেনে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ -ডিএসই।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Nov 2018, 09:23 AM
Updated : 11 Nov 2018, 09:23 AM

শেয়ারটির দরে ব্যাপক উত্থান-পতনের কারণে গত ৭ নভেম্বর  স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এর লেনদেন স্থগিত করা হয়েছিল।

রোববার সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়ায় কেপিসিএলের লেনদেন ফের শুরু হয়েছিল। তবে শেয়ারটির দর পরে গেছে ৮ টাকা ২০ পয়সা।

ডিএসইর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সামিট করপোরেশনের ১ কোটি ৫৯ লাখ ৪ হাজার ৪৩৫টি শেয়ার এখনও অবিক্রিত রয়েছে। যেগুলো ব্লক মার্কেটে বিক্রয় করবে বলে ডিএসইকে জানিয়েছে সামিট করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।

“সে কারণেই কেপিসিএলের এর লেনদেনে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ।”

গত ৪ নভেম্বর খুলনা পাওয়ারের ১ কোটি ৮০ লাখ ৬৪ হাজার ২৩৫টি শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেয় কোম্পানিটির করপোরেট উদ্যোক্তা সামিট করপোরেশন।

তবে শেয়ারবাজারের বর্তমান অবস্থায় এতো বড় বিক্রির  চাপ নেওয়ার সক্ষমতা নেই। যে কারনে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯ এর ৯ ধারার ৭ উপধারা ও ডিএসই লিস্টিং রেগুলেশন ২০১৫ এর ৫০ (১) অনুযায়ি খুলনা পাওয়ারের লেনদেন স্থগিত করা হয়েছিল।

১৯ অগাস্ট থেকে কেপিসিএলের দাম বাড়তে শুরু করে। ৬৭ টাকা ৭০ পয়সা থেকে এক মাসের ব্যধানে কোম্পানিটির দাম বেড়ে গিয়ে ১৩৭ টাকা ৬০ পয়সায় ঠেকে।

 ১০ অক্টোবর কেপিসিএলের দর আরও বেড়ে ১৪৪ টাকা ৯০ পয়সা পর‌্যন্ত উঠে।

এরপর দর কমতে শুরু করে। কমতে কমতে সোমবার ৯২ টাকা ২০ পয়সায় নেমে আসে। মঙ্গলবার কিছুটা বেড়ে ৯৮টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হয়।

৪ নভেম্বর খুলনা পাওয়ারের ১ কোটি ৮০ লাখ ৬৪ হাজার ২৩৫টি শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেয় কোম্পানিটির করপোরেট উদ্যোক্তা সামিট করপোরেশন।

বিক্রির এই ঘোষণার দিন থেকেই শেয়ারটির দাম কমতে থাকে।

স্থগিতাদেশের আগের দিন ৬ নভেম্বর মঙ্গলবার কেপিসিএলের দর ছিল ৯৮ টাকা ৪০ পয়সা। রোববার তা ৮ টাকা ২০ পয়সা কমে ৯০ টাকা ২০ পয়সায় নেমে এসেছে।