ইন্দো-বাংলা ফার্মার আইপিওর লটারির ড্র অনুষ্ঠিত

শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আবেদনকারীদের মধ্যে শেয়ার বরাদ্দ দেওয়ার জন্য লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Sept 2018, 12:54 PM
Updated : 11 Sept 2018, 12:54 PM

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এই ঠিকানায় (https://dsebd.org/ipo_lottery_result.php) ফলাফল দেখা যাবে।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর রমনায় অবস্থিত ইনস্টিনিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স ভবনের অডিটরিয়ামে লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়।

কোম্পানিটির আইপিওতে ৩৪.২৪ গুণ বেশি টাকার আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৪৫৬ কোটি ৮৫ লাখ ১০ হাজার টাকা, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৪৮ কোটি ৪২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৩০ কোটি ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ইলিজিবল ইনভেস্টরদের কাছ থেকে (এমএফ অ্যান্ড সিআইএস) ১৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার এবং ইলিজিবল ইনভেস্টরদের কাছ থেকে (এমএফ অ্যান্ড সিআইএস ছাড়া) ১৩৫ কোটি ৮৮ লাখ ২৫ হাজার টাকার আবেদন জমা পড়েছে।

এর আগে আগস্ট মাসের ৯ থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত কোম্পানিটির আইপিওর আবেদনগ্রহণ করা হয়েছে।

কোম্পানিটির শেয়ারবাজারে ২ কোটি শেয়ার ছেড়ে ২০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। এজন্য প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা।

উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি কারখানা, প্রশাসনিক ভবন, গুদাম ও গ্যারেজ ভবন নির্মাণ, মেশিনারিজ ক্রয় এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।

২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২১ পয়সা। এসময় পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৮৪ পয়সা।

আইপিওতে কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড, ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং সিএপিএম অ্যাডভাইজরি লিমিটেড।

এর আগে গত ৩ অক্টোবর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৬১৩তম কমিশন সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়।