সাধারণ সভা ডাকতে যাচ্ছে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন

বাংলাদেশে ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন বন্ধের বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের সিদ্ধান্ত জানতে অতিরিক্ত সাধারণ সভা ডাকতে যাচ্ছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) বাংলাদেশ লিমিটেড।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 July 2018, 11:19 AM
Updated : 29 July 2018, 11:28 AM

রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়।

গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশে দীর্ঘদিনের ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানায় ওষুধ খাতে বিশ্বের অন্যতম বড় কোম্পানি গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন।

তবে জিএসকের কনজিউমার হেলথকেয়ার ইউনিট বাংলাদেশে হরলিকস, মালটোভা, গ্ল্যাক্সোজ-ডি, সেনসোডাইনের মত পণ্য বিক্রি চালিয়ে যাবে বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

শুক্রবার কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তারা এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, বাংলাদেশের বাজারের ‘উপযোগী’ ওষুধ আনতে না পেরে লোকসানের কারণে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন তাদের কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।

সেদিন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নকিবুর রহমান জানিয়েছিলেন, পরিচালনা পর্ষদ ও শেয়ার মালিকরাই ফৌজদারহাটের দীর্ঘদিনের কারখানাটির ঠিক করবেন।

ওষুধ খাতের কোম্পানি হিসেবে ১৯৭৬ সালের বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন বাংলাদেশ লিমিটেড। ২০১৬ সালে শেয়ার মালিকদের ৫০০ এবং ২০১৭ সালে ৫৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিলেও চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ১৯ টাকা ২৭ পয়সা থেকে ১৫ টাকা ১৪ পয়সায় নেমে আসার কথা জানানো হয়।

৩০ জুন পর্যন্ত হিসাবে এ কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ১৭৮ টাকা ৪৯ পয়সা। যা আগের বছর একই সময় ১৮৩ টাকা ৯৩ পয়সা ছিল।

গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন তাদের কারখানা বন্ধ বা বিক্রি করে দিতে পারে- এমন খবরে গত বৃহস্পতিবার এ কোম্পানির শেয়ারের দাম এক দিনেই ৮০ টাকা কমে ১২০৫ টাকায় নেমে আসে। গত নভেম্বরেও এই শেয়ারের দাম ১৭০০ টাকা ছিল।

তবে রোববার কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ে ৩৯ টাকা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানির মোট শেয়ারের ৮১ দশমিক ৯৮ শতাংশই রয়েছে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ১৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দশমিক ৯১ শতাংশ শেয়ারের মালিক। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে মাত্র ১ দশমিক ১৮ শতাংশ শেয়ার।

ওষুধ কারখানা বন্ধের খবরে এর শেয়ারে কি ধরনের প্রভাব পড়বে- এমন প্রশ্নে কোম্পানির সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান এইমস অব বাংলাদেশের সিইও ইওয়ার সাইদ বলেন, “এখন বিষয়টি বল যাচ্ছে না, তবে ওষুধ উৎপাদন ইউনিট থেকে তাদের বিক্রির ৩০ শতাংশ হত।

“তারা হয়ত দেখেছে অন্য ব্যবসা থেকে ভালো আয় হচ্ছে, তাই এই ব্যবসা বন্ধ করে দিচ্ছে।”

জিএসকে এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের তথ্য অনুযায়ী, এ কোম্পানির ফৌজদারহাট কারখানায় পাঁচশর মত স্থায়ী শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করে আসছিলেন। সারাদেশে রয়েছেন আরও পাঁচশ স্থায়ী বিক্রয় ও বিপণনকর্মী। এছাড়া প্রায় পাঁচশ অস্থায়ী কর্মচারী রয়েছেন এ প্রতিষ্ঠানের অধীনে।