রহিমা ফুড ও মডার্ণ ডাইং ‘ডিলিস্টেড’

দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদন বা ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় রহিমা ফুড ও মডার্ণ ডাইং অ্যান্ড স্ক্রিন প্রিন্টিংকে তালিকাচ্যুত (ডিলিস্টিং) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 July 2018, 04:20 PM
Updated : 18 July 2018, 04:20 PM

কোম্পানি দুটির উৎপাদন না থাকার পরও বাজার দর বাড়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বুধবার ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়।

ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মডার্ণ ডাইং ও রহিমা ফুডের উৎপাদন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এছাড়া উৎপাদন শুরু করার কোনো সম্ভাবনা নেই।

“তারপরও এই ২ কোম্পানির শেয়ার দর অস্বাভাবিক হারে বাড়ে, যা পুঁজিবাজারের জন্য ক্ষতিকর। মূলত এই কারণে কোম্পানি দুটিকে শেয়ারবাজার থেকে তালিকাচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

কোম্পানি দুটির তালিকাচ্যুতি বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে বলে জানান তিনি।

রহিমা ফুড : ১৯৯৭ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে ২০১৩ সালের ১৩ জুন থেকে। ২০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির নিকট ভবিষ্যতে উৎপাদন শুরু হওয়ার মতো কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে কোম্পানিটির শেয়ার দর রয়েছে আকাশচুম্বি অবস্থায়। বুধবার লেনদেনে শেষে শেয়ারটি ১৭৪.৭০ টাকায় অবস্থান করছিল।

মডার্ণ ডাইং অ্যান্ড স্ত্রিন প্রিন্টিং: কোম্পানিটির ২০১০ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। প্লান্ট, শ্রমিক ও গ্যাসের সমস্যা এবং মেশিনের কার্যকারিতা অনেক কম হওয়ার কারণে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ওই বছরের ৩ আগস্ট বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে ফ্যাক্টরির জায়গা দীর্ঘমেয়াদে গুদামের জন্য ভাড়াও দেওয়া হয়েছে। তারপরেও শেয়ারটির দর অবস্থান করছে ৩২৬.৩০ টাকায়।

১৯৮৮ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মডার্ণ ডাইংয়ের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১ কোটি ৩৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এই স্বল্প মূলধনের কারণে কোম্পানিটির শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি সহজ হয়েছে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।