পুঁজিবাজার এখন বিনিয়োগের আকর্ষণীয় গন্তব্য: প্রধানমন্ত্রী

জবাবদিহিতা ও সুশাসন নিশ্চিতের পদক্ষেপ নেওয়ায় বাংলাদেশের পুঁজিবাজার এখন বিশ্ব বিনিয়োগের অন্যতম আকর্ষণ ও গন্তব্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 June 2018, 04:03 PM
Updated : 27 June 2018, 04:54 PM

বুধবার জাতীয় সংসদে বাজেট আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রীর ভাষণে পুঁজিবাজার না থাকায় কেউ কেউ কথা তুলেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “পুঁজিবাজার নিয়ে অনেক ঘটনা ঘটে গেছে, এটা নিয়ে সেটা নিয়ে অনেক কিছুই হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর ভাষণে নেই বলে কেউ কেউ এটা নিয়ে কথা তুলেছে। যেহেতু পুঁজিবাজার এখন সুষ্ঠভাবে চলছে সেখানে বলার কি আছে।”

পুঁজিবাজারের জন্য যা যা করার সবই করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

“একটি উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা পুঁজিবাজারকে উন্নয়নের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি, কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের পুঁজিবাজার এখন অব্যাহতভাবে বিশ্ব বিনিয়োগের অন্যতম আকর্ষণ ও গন্তব্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আমাদের সরকার একটি শক্তিশালি পুঁজিবাজার গড়ে তোলার জন্য ধারাবাহিকভাবে পলিসি সাপোর্ট, আইনগত সংস্কার অবকাঠামো নির্মাণসহ নানাবিধ সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।

“শিল্প অবকাঠামো সেবা খাতে অর্থায়নের ক্ষেত্রে পুঁজিবাজারের অবদান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুঁজিবাজারের বিভিন্ন পর্যায়ে অনিয়ম দূর করে জবাবদিহিতা ও সুশাসন নিশ্চিত করার ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে।”    

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের প্রণীত বিধিমালার আলোকে ইতিমধ্যে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও ইম্প্যাক্ট ফান্ড গঠনের জন্য বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে এবং তাদের অংশগ্রহণ বাড়ছে।

পুঁজিবাজারের উন্নয়নে যেসব কর্মসূচি নেওয়া হবে তাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

এসব উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে- স্টক এক্সচেঞ্জগুলোতে স্মল ক্যাপ প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রম চালু করা, নতুন ফিক্সড ইনকাম ফিন্যান্সিয়াল প্রোডাক্টসহ বন্ড মার্কেটের উন্নয়ন করা।  

এছাড়াও ই-ফাইলিং থেকে সর্বস্তরে ডিজিটাল ব্যবস্থা প্রবর্তন, সার্ভেইলেন্স ও তদারিক ব্যবস্থা উন্নয়ন ও জোরদার করার মাধ্যমে পুঁজিবাজারে সুশাসন ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে বিনিয়োগ শিক্ষার মৌলিক বিষয়বস্তু অবহিত করা, বিশ্ব অর্থনীতির ক্রমাগত পরিবর্তনের ফলে নিত্যনতুন বিষয়সমূহ আয়ত্ব করতে কমিশনের কর্মচারীদের দেশে-বিদেশে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।

এবারের বাজেটকে চমৎকার আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এবারের বাজেট আমি যা মনে করি, মাননীয় অর্থমন্ত্রী যে বাজেট দিয়েছেন অত্যন্ত চমৎকার একটা বাজেট, যেটা নিয়ে কেউ কোনো কথা বলতে পারে নাই।

“সকল শ্রেণির মানুষেরই কথা বিবেচনা করে দীর্ঘদিন পরিশ্রম করে তিনি বাজেট উপহার দিয়েছেন। কাজেই এ বাজেট বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে সেটাই আমরা আশা করি। অর্থমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য কামনা করি দীর্ঘজীবী হোন তিনি, আরও বাজেট দিন আমরা সেটাই চাই।”