রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যৌথ এক সম্মেলন থেকে এ সিদ্ধান্ত আসার কথা জানানো হয়।
বিএসইসি ও বিএফআইইউ-এর যৌথ উদ্যোগে রাজধানীর একটি হোটেলে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রধান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তাদের ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএসইসি চেয়ারম্যান ড. এম. খায়রুল হোসেন বলেন, “পুঁজিবাজার যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা সন্ত্রাসে অর্থায়ন বা অপরাধলব্ধ অর্থ বৈধ করার প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তবে বিশ্বের কোনো দেশ সাহায্যের হাত নিয়ে এগিয়ে আসবে না। পুঁজিবাজারে কোনো বিদেশি বিনিয়োগ সরাসরি আসবে না। সেজন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এধরনের কর্মকাণ্ডকে কোনোভাবেই স্বাগত জানায় না।”
পুঁজিবাজারকে ব্যবহার করে ‘ইনসাইডার ট্রেডিং ও মার্কেট ম্যানিপুলেশনের’ মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করে তা যেন অন্য খাতে ব্যবহৃত হতে না পারে সেজন্য মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন পরিপালন কর্মকর্তাদের সচেতন থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি বিএফআইইউ’র প্রধান আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান বলেন, বিএসইসি ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব সিকিউরিটিজ কমিশন্সের (আইওএসসিও) ‘এ’ ক্যাটাগরির সদস্য। এর নীতি অনুযায়ী পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন বিষয়ক ঝুঁকি প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে নজরদারী অব্যাহত রাখা, সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং দেশীয় ও আর্ন্তজাতিক সংস্থার সাথে কার্যকর সহযোগিতা প্রদানের বিধি-বিধান মেনে চলতে হয়।
বিএফআইইউ-এর উপ প্রধান মিজানুর রহমান জোদ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিএসইসি’র কমিশনার আমজাদ হোসেন ও ড. স্বপন কুমার বালা, বিএসইসি-র নির্বাহী পরিচালক রুকসানা চৌধুরী এবং বিএফআইইউ’র অপারেশনাল হেড জাকির হোসেন চৌধুরী বক্তব্য দেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সম্মেলনে তিনটি প্যানেল আলোচনার সেশন এবং একটি ফিডব্যাক ও কর্ম পরিকল্পনা সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএসইসির কমিশনার আমজাদ হোসেন, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএসইসি’র কমিশনার ড. স্বপন কুমার বালা, সভাপতিত্ব করেন বিএফআইইউ-এর অপারেশনাল জাকির হোসেন চৌধুরী এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সিটি ব্যাংক এনএ-এর সিসিসিও এম. আশেক রহমান।