শেয়ার বিক্রি নিয়ে অনেকে ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের’ চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
সোমবার অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে প্রাক বাজেট আলোচনা সভায় অর্থমন্ত্রী ডিএসইর শেয়ার বিক্রির বিষয়টি তোলেন।
চীনের শেনচেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জকে কৌশলগত অংশীদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ডিএসই কর্তৃপক্ষ গত ২২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন করে।
প্রস্তাব পাওয়ার পর বিএসইসি কিছু বিষয়ের জবাব চায় ডিএসইর কাছে।
এরপর ডিএসই জানায়, সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ এবং শেনচেন স্টক এক্সচেঞ্জকে নিয়ে গঠিত কনসোর্টিয়াম ডিএসইর শেয়ার ২২ টাকা দরে কিনতে চেয়েছে। একই সঙ্গে কিছু টেকনিক্যাল সাপোর্টের কথা বলেছে।
ডিএসইর ভাষ্য অনুযায়ী, এই টাকার পরিমাণ হবে ৩০০ কোটি টাকা। কিন্তু এর নিরপেক্ষ মূল্যায়ন নেই। এছাড়াও চীনের বিনিয়োগের প্রস্তাবে কিছু শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে ভারতীয় একটি কনসোর্টিয়াম প্রতি শেয়ার ১৫ টাকা দরে প্রস্তাব করেছে।
অর্থমন্ত্রী বিষয়টি তুলে বলেন, “অনেকে ঘোলা পানিতে (মাছ) শিকার করার চেষ্টা করছে।
“এ মেসেজটা এখনও মার্কেটে রিফ্লেক্টেড হয় নাই। একই সঙ্গে কিছু সমস্যা হচ্ছে। কেউ কেউ বোধহয় এ উপলক্ষে ঘোলা পানিতে শিকার করতে চান।”
“আমাদের ডিএসইর এ রোলটা বোধহয় খুব সঠিক হচ্ছে না, এই মূহুর্তে,” বলেন মুহিত।
প্রধানমন্ত্রী সিঙ্গাপুর থেকে ফেরার পর বৃহস্পতিবারের মধ্যে এই জটিলতার অবসান ঘটবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী।