বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “বিএসইসি যে বিষয়গুলো আমাদের কাছে জানতে চেয়েছে, সে বিষয়ে আমরা আগে থেকেই অবহিত এবং এর উত্তর আমাদের তৈরি আছে ।”
নির্ধারিত চার দিনের মধ্যেই বিএসইসিকে ওই চিঠির জবাব দেওয়া হবে বলে জানান ডিএসইর এমডি।
চীনের শেনচেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জকে কৌশলগত অংশীদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ গত ২২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন করে।
বিএসইসি ওই দিনই প্রস্তাবটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য চার সদস্যের এক কমিটি করে। কমিটিকে দশ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
এরপর ওই কমিটি ডিএসইর প্রস্তাবের বেশ কিছু বিষয়ের ব্যাখ্যা চেয়ে গত মঙ্গলবার একটি চিঠি দেয়। চার কার্যদিবসের মধ্যে ওই চিঠির জবাব দিতে বলা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ এবং শেনচেন স্টক এক্সচেঞ্জকে নিয়ে গঠিত কনসোর্টিয়াম ডিএসইর শেয়ার ২২ টাকা দরে কিনতে চেয়েছে। একই সঙ্গে কিছু টেকনিক্যাল সাপোর্টের কথা বলেছে। ডিএসইর ভাষ্য অনুযায়ী এই টাকার পরিমাণ হবে ৩০০ কোটি টাকা। কিন্তু এর নিরপেক্ষ মূল্যায়ন নেই। এছাড়াও চীনের বিনিয়োগের প্রস্তাবে কিছু শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মাজেদুর রহমান বলেন, “আমরা চীনের কাছে একটা শেয়ার পার্চেজ এগ্রিমেন্ট পাঠিয়েছিলাম, তাতে তারা কিছু শর্ত দিয়েছে। বিএসইসি নীতিগত অনুমোদন দিলে তখনই এ বিষয়গুলো পুরোপুরি ঠিক হবে। নীতিগত অনুমোদন পেলে আমরা চীনের সঙ্গে ফাইনাল কথা বলতে পারব এবং আমরা জানাব তাদের কোন শর্ত মানা সম্ভব, কোনটা মানা সম্ভব না।”
চীনা প্রস্তাবের শর্তগুলো হল- কৌশলগত অংশীদারিত্বের এই চুক্তি হতে হবে যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী। দ্বিতীয়ত, কোনো বিভেদ দেখা দিলে তার সমাধান হতে হবে যুক্তরাজ্যের আরবিট্রেশন আইন অনুযায়ী। তৃতীয়ত, ডিএসইর আর্টিকেল পরিবর্তন করে কিছু বিষয় যুক্ত করতে হবে। সেসব বিষয় পরে কখনও পরিবর্তন করতে চাইলে ডিএসইর বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) পাস করার আগে কনসোর্টিয়ামের অনুমোদন নিতে হবে।
মাজেদুর রহমান বলেন, “চীন যে লন্ডনের কোর্টের কথা বলেছে, যে কোনো আন্তর্জাতিক চুক্তিতে এ ধরনের আন্তর্জাতিক কোর্ট এর দরকার হয়, থার্ড পার্টি কান্ট্রির দরকার হয়... এ বিষয়টি আইনসিদ্ধ।
“চীনের সঙ্গে আমাদের অনেক অলোচনা হয়েছে। এ বিষয়গুলোও আলোচনার মধ্যে ছিল। কিন্তু সব বিষয়ে আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে যায়নি। বাংলাদেশের আইনে যে বিষয়গুলো করা যাবে না, তা আমরা করব না।”