সোমবার সন্ধ্যায় এক জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে এসে মঙ্গলবার থেকেই পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশার কথাও শোনান তিনি।
মুদ্রানীতির কারণে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ‘অর্থের উৎসে সমস্যা সৃষ্টি হওয়াকে’ কারণ দেখিয়ে মাজেদ বলেন, “আমরা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে, অচিরেই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। আশা করছি, আগামীকাল থেকেই একটি পজেটিভ ইমপ্যাক্ট পড়বে।”
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক পরিচালক ছায়েদুর রহমান, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব খায়রুল বাসারও ছিলেন।
ব্যাংকগুলোর এডিআর (ঋণ-আমানত অনুপাত) সমন্বয়ের সময়সীমা আরও ছয় মাস বাড়ানোর বিষয়টি তুলে ধরে মাজেদ বলেন, পুঁজিবাজারে থাকা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো শিগগির অর্থ সংকট কাটিয়ে উঠবে।
সাম্প্রতিক দরপতনের কারণে আশঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে ডিএসই এমডি বলেন, “পুঁজিবাজার উঠবে-পড়বে, এটি স্বাভাবিক বিষয়। সম্প্রতি সূচকের কিছু পতন হয়েছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশেও হয়েছে। সেই তুলনায় আমাদের দেশে কম।
“অন্যদের যেখানে ৩শ-৪শ পয়েন্ট পড়ে গেছে, সেখানে আমাদের হয় তো ৫০-৭০ পয়েন্ট পড়েছে। একদিন হয়ত একটু বেশি হয়েছিল, প্রায় একশ পয়েন্ট পড়েছিল। আমরা মনে করি, এটি নিয়ে আশঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।”
এখন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ‘ভালো সময়’ বলে দাবি করেন মাজেদ।
“সচেতন বিনিয়োগকারীরা হয়ত ভাবছেন এই মুহূর্তে কোনো ঝুঁকি না নেওয়া ভালো। তবে আমি বলব, বাজারের এই সময়টা খুবই ভালো সময়। সচেতন বিনিয়োগকারীরা এই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেন।”
ডিএসইতে চীনা অংশীদারিত্বের প্রস্তাব নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বের প্রভাবও বাজারে পড়েছে বলে মনে করা হয়।
মাজেদ বলেন, “আসলে এতে দ্বিধাদ্বন্দ্বের কিছু নেই। এটার অত্যন্ত সুস্পষ্ট নীতিমালা রয়েছে। এই নীতিমালার অধীনে কৌশলগত বিনিয়োগকারী বাছাইয়ে আমরা যে প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছি, সেটা অত্যন্ত স্বচ্ছ।
“ডিএসইর পর্ষদের যে সুপারিশ ছিল, তা আমরা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) পাঠিয়েছি। শেনঝেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের কনসোর্টিয়ামের প্রস্তাব উনারা পরীক্ষা করে দেখছেন।”