পুঁজিবাজারে দরপতন

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে দরপতন অব্যাহত রয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Feb 2018, 11:21 AM
Updated : 19 Feb 2018, 11:21 AM

রোববার বড় পতনের পর সোমবারও সূচক ও লেনদেন কমেছে দুই বাজারে।

এদিন লেনদেন শুরুর পর দুই পুঁজিবাজারেই বেশ কিছুক্ষণ সূচক খাড়া ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় থাকে; প্রথম আড়াই ঘণ্টার মধ্যে পরে পতনের ধারা থাকলেও সূচক ইতিবাচক ছিল। এর পর থেকে সূচক নেতিবাচক রেখে লেনদেন শেষ হয়।  

মাসখানেক ধরে বাজারে অস্থিরতা চলছে। মুদ্রানীতিকে কেন্দ্র করে অস্থরিতা কাটতে না কাটতেই ডিএসইতে চীনের দুটি স্টক এক্সচেঞ্জের সমন্বয়ে গঠিত কনসোর্টিয়াম ডিএসইর অংশীদার হওয়ার খবর নিয়ে নতুন অস্থিরতা শুরু হয়েছে।

ডিএসই পরিচালনা পর্ষদ চীনের এই কনসোর্টিয়ামকে অনুমোদন নেওয়ার পরের দিন গত সপ্তাহের প্রথম দিন রোববার ডিএসইর সূচক বাড়ে ১২৮ পয়েন্টের বেশি।

এরপর বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ডিএসইর অনুমোদনকে মানবে না- বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এমন খবরকে কেন্দ্র করে বাজারে নিম্মমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়েই সপ্তাহ শেষ হয়।

তারই ধারাবাহিকতায় চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন রোববার ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স পড়ে যায় প্রায় ১০০ পয়েন্ট। সোমবার এই সূচক কমেছে ১০ পয়েন্টের বেশি।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সোমবার ডিএসইতে ৩৭৭ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে প্রায় ৬৩ কোটি ৭ লাখ টাকা কম। রোববার  ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৪৪০ কোটি ২৩ লাখ টাকা।

সোমবার ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩৩২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৯টির, কমেছে ১৭৬টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৭টি কোম্পানির শেয়ার দর।

ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্য সূচক ১০ দশমিক ৫ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৯৪০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ৩৮৯ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ১৮৮ পয়েন্টে।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৮ হাজার ৩৬৮ পয়েন্টে।

লেনদেন হয়েছে ২২৩টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৬টির, কমেছে ১৪০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির শেয়ার দর।