বুধবার দিনের লেনদেন শেষে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জেই বেশিরভাগ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর কমলেও শেয়ারের মূল্যসূচক বেশ বেড়েছে।
সূচকের সঙ্গে সঙ্গে দুই বাজারেই আগের দিনের চেয়ে লেনদেনও বেশ বেড়েছে; ঢাকার বাজারে সাড়ে ৪৮ শতাংশ এবং চট্টগ্রামের বাজারে ১ দশমিক ৮২ শতাংশ লেনদেন বেড়েছে।
বুধবারের সূচকে ইতিবাচক পরিবর্তনের পেছনে একক কোম্পানি হিসেবে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল লাফার্জ সুরমা সিমেন্টের।এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাড়ে ২০ শতাংশ লেনদেন ছিল এই কোম্পানির দখলে।
বাজারে বড় মূলধনী খাতগুলোর মধ্যে সিমেন্ট, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত এবং ব্যাংক খাতের দর বেড়েছে যথাক্রমে ৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ, ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ ও শূন্য দশমিক ৫৫ শতাংশ।
বুধবার লেনদেন শুরুর পর সূচক প্রথম একঘণ্টায় ঊর্ধ্বগতিতেই ছিল।এরপর বেশ কিছুক্ষণ দরপতন চলতে থাকে।তবে শেষ আধা ঘণ্টায় হু হু করে সূচক বাড়ে।
বাজার বিশ্লেষণী পোর্টাল স্টক বাংলাদেশের হিসাবে, ডিএসইতে সূচক বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখা শীর্ষ পাঁচ কোম্পানি হলো– লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, বিএটিবিসি, গ্রামীণফোন ও ইউপিজিডিসিএল।
এর মধ্যে লেনদেনে থাকা বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত ৪৮টি কোম্পানির মধ্যে ২৭টিরই দর কমেছে। এই খাতের বেশিরভাগ কোম্পানি তালিকাভুক্তি বিধিমালার ওয়েবসাইট সংক্রান্ত ধারাগুলো মানছে না বলে বুধবারই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
দিনের লেনদেন শেষে এ খাতের কোম্পানি আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির শেয়ারের দর আগের দিনের চেয়ে ১ টাকা ৩০ পয়সা কমে ২৫ টাকা ৯০ পয়সায় এবং দেশ গার্মেন্টসের শেয়ারের দর ৪ টাকা ৫০ পয়সা কমে ২৩৬ টাকা ৮০ পয়সায় নেমেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বুধবার ডিএসইতে ৫৫১ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, যা আগের দিনের চেয়ে ১৮০ কোটি ২৮ লাখ টাকা বেশি।
দিন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বা ডিএসইএক্স ১৮ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে প্রায় ছয় হাজার ১৮৬ পয়েন্টে; ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৭ দশমিক ৫৭ পয়েন্ট বেড়ে প্রায় এক হাজার ৩৮৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই৩০ সূচক ১৬ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে প্রায় দুই হাজার ২৬১ পয়েন্টে।
এদিকে দিন শেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন আগের চেয়ে প্রায় ৪৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা বেড়ে ৬৭ কোটি আট লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়।
দিন শেষে সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৩৯ পয়েন্ট বেড়ে প্রায় ১৯ হাজার ১২৩ পয়েন্টে উঠেছে।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৪০টি কোম্পানি এবং মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৭০টির, দর কমেছে ১৩৩টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির।