নোটিসের জবাবে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির দেওয়া এই তথ্য মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
একমাসের মধ্যে ৬ ডিসেম্বরের আগে ডিএসইতে প্রতিদিন লিগাসি ফুটওয়ারের একলাখের কম শেয়ার হাতবদল হয়। ৫ নভেম্বর ঢাকার বাজারে এই কোম্পানির ৫৯ হাজার ৭২৫ শেয়ার লেনদেন হয়। কিন্তু পরদিনই একলাফে বেড়ে ১১ লাখ ৮৯ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়। আর রোববার তা আরও বেড়ে ১৭ লাখ ৩ হাজার ৫১১টি শেয়ার লেনদেন হয়।
শেয়ারটির হঠাৎ লেনদেন বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে রোববার লিগাসি ফুটওয়ারকে নোটিস পাঠায় ডিএসই কর্তৃপক্ষ।
জবাবে শেয়ারের লেনদেনে প্রভাব ফেলার মতো কোম্পানির পরিচালন/মুনাফাসংশ্লিষ্ট কোনো অপ্রকাশিত বাস্তবিক সিদ্ধান্ত বা তথ্য তাদের কাছে নেই বলে জানিয়েছে। বিশেষ করে রোববার হঠাৎ করে ব্যাপকভাবে লেনদেন বেড়ে যাওয়ার পেছনে কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।
অধিকন্তু মেরামতের জন্য ২০১৮ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত উৎপাদন বন্ধ থাকার তথ্য তুলে ধরে লিগাসি ফুটওয়ার বলেছে, “তাই, কোনো বিনিয়োগ করার আগে প্রকৃত অবস্থা পর্যালোচনা করতে শেয়ারহোল্ডারদের প্রতি অনুরোধ রইল।”
উৎপাদন বন্ধ থাকলেও ২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করায় ২০০০ সালে তালিকাভুক্ত এই কোম্পানিকে গত ৫ ডিসেম্বর জেড ক্যাটাগরি থেকে এ ক্যাটাগরিতে উঠিয়ে দেয় ডিএসই।
পরদিন এ ক্যাটাগরিতে বাজারে লেনদেনে এসেই হুট করে শেয়ার হাতবদলের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বাড়ার পাশাপাশি শেয়ারটির দরও বেড়ে চলেছে।
সোমবার পর্যন্ত চার কার্যদিবসে ১৩ টাকা ৪০ পয়সা বা ২৭ শতাংশের বেশি বেড়েছে। এই সময়ে শেয়ারের ৪৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৬১ টাকা ৯০ পয়সায় উঠেছে।