প্রকৌশল খাতের কোম্পানিটির নিরীক্ষকের বরাত দিয়ে সোমবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২৯ অক্টোবর শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানিকৃত কাঁচামাল বন্ডেড ওয়ারহাউজ থেকে অবৈধভাবে স্থানান্তরের অপরাধে কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট জরিমানা বাবদ মোট ৪৩ কোটি ২৯ লাখ ১ হাজার ৮১১ টাকা গত ১২ নভেম্বরের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছিল।
ওই সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে গোল্ডেন সন বিচারপতি মো. জোবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. ইকবাল আহমেদের বেঞ্চে ভিন্ন দুটি আবেদন করেছিল।
আবেদন দুটির শুনানি শেষে গত ১৩ নভেম্বর আদালত বন্ড লাইসেন্স বাতিল ও জরিমানার আরোপের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেয় বলে নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান সিএসইকে জানিয়েছে।
তবে ওই আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান বলছেন, কোম্পানিটির লাইসেন্স বাতিল বা জরিমানার সিদ্ধান্ত স্থগিত হয়েছে বলা যাবে না।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের আপত্তিতে আদালত আবেদন নিষ্পত্তি করে দিয়ে কোম্পানিটিকে নিয়মিত আপিল করতে বলে।
“আপিল দায়ের করার জন্য যে কোনো পক্ষ যেহেতু ৯০ দিন সময় পায় তাই আপিল দায়ের না করা পর্যন্ত যেন কোম্পানিটির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না গ্রহণ না করা হয় সেটি বলে দিয়েছে আদালত। এটাকে কোম্পানিটির লাইসেন্স বাতিল বা জরিমানার সিদ্ধান্ত স্থগিত বলা যাবে না।”
যে পরিমাণ অর্থ গোল্ডেন সনকে জরিমানা করা হয়েছে কোম্পানিটির প্রায় সাড়ে তিন বছরেও তা আয় করতে পারেনি।
২০১৪ সালে কোম্পানিটির মুনাফা হয় ৩০ কোটি টাকা। ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের জুন পযন্ত আয় হয় ১৫ কোটি টাকা। চলতি বছরের মার্চ পযন্ত তিন প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটি সাড়ে সাত কোটি টাকা লোকসানে রয়েছে।
২০০৭ সালে তালিকাভুক্ত বি ক্যাটাগরিতে লেনদেনে থাকা কোম্পানিটি ২০১১ ও ২০১৫ সাল ছাড়া প্রতিবছরই বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিয়েছে।
কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকার ও পরিশোধিত মূলধন ১৭১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।