সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছয় হাজার তিনশোর ঘর অতিক্রম করে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। সেই সঙ্গে ডিএসইতে বাজার মূলধনও ছিল এদিন সর্বোচ্চ।
একবছর আগে ২০ নভেম্বর ডিএসইএক্স ছিল প্রায় চার হাজার ৭২২ পয়েন্ট; বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ২৯ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা।
দিন শেষে ডিএসইসহ দুই বাজারেই শেয়ারের প্রধান মূল্যসূচক বাড়লেও লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর কমেছে।
লেনদেন শুরুর পর ডিএসইএক্স উঠতে থাকলেও দ্বিতীয় ঘণ্টায় কমে আগের চেয়ে ২ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৮০ পয়েন্টে নামে। তবে দিন শেষে ছয় হাজার তিনশোর বাধা কাটিয়ে ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২৪ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩০৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল চার লাখ ২৬ হাজার ১০৭ কোটি টাকার বেশি, যা বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের ইতিহাসে সর্বাচ্চ। বড় বাজার মূলধনী খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন, প্রকৌশল ও ব্যাংক খাত।
সোমবার ডিএসইতে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে ২৮২ কোটি ৮০ লাখ টাকা বেড়ে ৯৭০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়।
দিন শেষে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৭ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৩৮৩ পয়েন্টে ও ডিএস৩০ সূচক ১০ দশমিক ৭০ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২৯০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ডিএসইতে লেনদেনে শীর্ষ ১০ কোম্পানি- লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স, শাহজালাল ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, বিবিএস কেবলস, ঢাকা ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মা, কনফিডেন্স সিমেন্ট, ইফাদ অটোস, এফএএস ফাইন্যান্স ও বিডি থাই।
দরবৃদ্ধিতে শীর্ষ ১০ কোম্পানি- ইস্টার্ন ক্যাবলস, ন্যাশনাল টিউনস, ফার্মা এইড, ইউনিক হোটেল, নাভানা সিএনজি, ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোড, উসমানিয়া গ্লাস, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স, শাহজালাল ব্যাংক ও এটলাস বাংলা।
দরপতনে শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- জেমীনি সী ফুড, সাইফ পাওয়ার, অ্যাক্টিভ ফাইন, এএফসি অ্যাগ্রো, ন্যাশনাল পলিমার, বিবিএস ক্যাবলস, শমরিতা হাসপাতাল, ফার কেমিক্যাল, বেঙ্গল উইন্সডোর ও দেশ গার্মেন্ট।
এদিকে রোববার সিএসইতে ৪৪ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। আগের দিন এই বাজারে ৬১ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছিল।
সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯২ দশমিক ৮২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৫৩৮ দশমিক ৪২ পয়েন্টে।
সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৩৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৪ টির; কমেছে ১০৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির দর।