২০১৭ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে এ ক্যাটাগরির কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২৯ পয়সা, যা আগের একই সময়ে ছিল ১১ পয়সা। সেই হিসেবে মুনাফা বেড়েছে ১৮ পয়সা বা ১৬৪ শতাংশ।
বস্ত্রখাতের এই কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের এই তথ্য বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে তুলে ধরা হয়েছে।
রং করার কাজে নতুন কিছু উদ্যোগ নেওয়ার ফলে বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় এই মুনাফা বেড়েছে বলে জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনস কর্তৃপক্ষের দাবি।
কোম্পানিটির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) মার্ক নিরঞ্জন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমেকে বলেন, পুরনো মেশিন পাল্টানোর সঙ্গে সঙ্গে নতুন কিছু ডাইং মেশিন বসানো হয়েছে এবং তৈরি পোশাকের জন্য নতুন ‘প্রডাকশন লাইন’ যোগ হয়েছে।
জুলাই-সেমেপ্টম্বর সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওএফপিএস) আগের তুলনায় ৪৭ পয়সা বেড়েছে অর্থাত্ ১ পয়সা থেকে বেড়ে ৪৮ পয়সা হয়েছে। এসময়ে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ১২ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে বেড়ে ১৩ টাকা ৪ পয়সা হয়েছে ।
২০০৪ সালে রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে (আরজেএসসি) নিবন্ধিত জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনস্ ২০০৬ সাল থেকে উৎপাদনে রয়েছে। কোম্পানিটি তুলা থেকে সূতা, সূতা থেকে বস্ত্র ও বস্ত্র থেকে তৈরি পোশাক উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানি করে।
২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটি পরের হিসাব বছর ৩৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা মুনাফা দেখায়। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর শেষে মুনাফা বেড়ে ৪৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকা হয়।
পরের বছরই তা কমে আবার ৩৪ কোটিতে নেমে যায়। ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত ছয় মাসের হিসাবে কোম্পানিটি মুনাফা দেখায় ৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ৩০ জুন শেষে আর্থিক প্রতিবেদনে হিসাবে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা দেখিয়েছে ৫৯ পয়সা। সে হিসেবে ২৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা।
তালিকাভুক্তির পর চার বছরে নিয়মিতই লভ্যাংশ দিয়েছে আসছে কোম্পানিটি; সর্বশেষ ২০১৭ সালের জুন শেষে ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
কোম্পানিটির অনুমদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা, পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ৪০৯ কোটি টাকা। মোট শেয়ারের ৬৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ শেয়ার আছে বিনিয়োগকারীদের হাতে; ২২ দশমিক ৩০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের ও ১৩ দশমিক ৮২ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে রয়েছে।
গতকালের চেয়ে ৭০ পয়সা বেড়ে ১০ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা; এদিন বাজার মূলধন ছিল ৪০৯ কোটি টাকা।