অপেশাদার মার্চেন্ট ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল হবে: বিএসইসি চেয়ারম্যান

মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো পেশাদার হতে না পারলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা মতো কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Nov 2017, 04:16 PM
Updated : 15 Nov 2017, 05:35 PM

বুধবার পুঁজিবাজার প্রতিবেদকদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি শেয়ারবাজারে সুশাসন নিয়ে কথা বলেন।

বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর মূল তিনটি কাজ- ইস্যু ব্যবস্থাপনা, পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপনা ও আন্ডাররাইটিং। অনেক প্রতিষ্ঠান প্রথম দুটি কাজ করলেও ইস্যু ব্যবস্থাপনা করতে পারছে না।

“এদেরকে বিএসইসির পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হবে। এক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য ব্যাখা না দিতে পারলে লাইসেন্স বাতিলের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

শেয়ারবাজারে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বিশেষ করে নতুন কোম্পানি বাজারে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাজ সবচেয়ে বেশি। কিন্তু অনেক প্রতিষ্ঠান আছে, তারা নতুন কোনো কোম্পানি আনতে পারে না অর্থাৎ তাদের পেশাদারিত্ব নেই। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ারবাজারে সুশাসন নিশ্চিতের জন্য অপরাধীদের চিহ্নিত করতে বিএসইসিতে ‘পুঁজিবাজার গোয়েন্দা ইউনিট’ গঠনের ভাবনার কথা জানিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির প্রধান বলেন, বিএসইসিতে জনবল বাড়লে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে।

অধ্যাপক খায়রুল বলেন, “শেয়ারবাজার ডিমিউচুয়ালাইজড হয়েছে। ফলে আগামীতে বাজারে অনেক নতুন নতুন পণ্য আসছে। এতে বাজারের গভীরতা আরও বাড়বে।

“আইপিওতে কোম্পানির মূল্য নির্ধারণ নিয়ে এর আগে অনেক প্রশ্ন ছিল। বর্তমানে এখানে একটি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এখন বিএসইসি আর কোনো কোম্পানিতে প্রিমিয়াম দেয় না। কোনো কোম্পানি প্রিমিয়ামে আসতে হলে অব্যশই তাকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে যেতে হবে। এতে বাজারের চাহিদা অনুসারে শেয়ারের মূল্য নির্ধারিত হয়।”

আগারগাঁওয়ে বিএসইসির কার্যালয়ে বৈঠকে সিএমজেএফের সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল, বিএসইসির কমিশনার ড. স্বপন কুমার বালা, আমজাদ হোসেন ও খোন্দকার কামালুজ্জামান।

ড. স্বপন কুমার বালা বলেন, “শেয়ারবাজারকে স্বচ্ছ ও গতিশীল করতে কাজ করছে কমিশন। এখন অনেক তথ্য স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েব সাইটে পাওয়া যায়। এই ওয়েবসাইটকে আরও সমৃদ্ধ করা হবে।”

এসময় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।