ইতিবাচক খবরেও ওয়েস্টার্ন মেরিনের দরপতন

বেশকিছু ইতিবাচক খবরের মধ্যেও জাহাজনির্মাতা কোম্পানি ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের শেয়ারের দরপতন হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Nov 2017, 10:11 AM
Updated : 12 Nov 2017, 10:11 AM

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রোববার দিন শেষে এই শেয়ারের দর আগের দিনের চেয়ে দুই টাকা ৪০ পয়সা বা ৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ কমে ৩৯ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হয়। শেয়ারটির দর ৩৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৪৩ টাকার মধ্যে উঠানামা করে।

এর আগে ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রকৌশল খাতের কোম্পানিটি পাঁচটি মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করে। এর মধ্যে রয়েছে মূলধন দ্বিগুণ করা, উৎপাদন বাড়ানো ও লভ্যাংশ ঘোষণা এবং শেয়ারপ্রতি মুনাফা বাড়ার মতো ইতিবাচক খবর।

এসব খবরের প্রভাবে সাধারণ নিয়মে বাজারে এ ক্যাটাগরির শেয়ারটির বাড়তি চাহিদা তৈরি হওয়ার কথা, যাতে দাম বাড়ারও কথা। কিন্তু তা না হয়ে উল্টো দাম কমেছে।

আগের দিন ওয়েস্টান মেরিন শিপইয়ার্ডের পরিচালনা পর্ষদ ২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২ শতাংশ নগদ ও ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ

অর্‌থাৎ প্রতি শেয়ারে ২০ পয়সার সঙ্গে প্রতি ১০০ শেয়ারে ১২টি করে নতুন শেয়ার পাবেন বিনিয়োগকারীরা। এ লভ্যাংশ আগের অন্তত দু্ই বছরের চেয়ে বেশি।

আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ১৪ পয়সা; শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ৩৪ টাকা ২৪ পয়সা।

এদিন কোম্পানিটি প্রকাশিত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, যাতে আগের চেযে মুনাফা বেড়েছে বলে দেখানো হয়েছে। সেইসঙ্গে ওয়েস্টার্ন মেরিন উত্পাদন বাড়ানোরও খবর দিয়েছে, যার ফলে দুই বছর পর কোম্পানিটির মুনাফা ১১ শতাংশ বাড়বে বলে দাবি করা হয়েছে।

এর বাইরে মূল্য সংবেদনশীল নয় এমন দুটি ঘোষণাও কোম্পানি দিয়েছে। এগুলো হলো অনুমোদিত মূলধন বাড়ানো ও রাইট শেয়ার ইস্যুর ঘোষণা।

ওয়েস্টান মেরিন শিপইয়ার্ড জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ৬৬ পয়সা ইপিএস দেখিয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১০ পয়সা বেশি।

আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে নিট কার্যকরী অর্থপ্রবাহে (এনওসিএফপিএস) । প্রথম প্রান্তিক শেষে এনওসিএফপিএস হয়েছে ৩৩ পয়সা, যা আগের একই সময়ে ছিল ১৭ পয়সা।

এই সময়ে শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য (এনএভি) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৯০ পয়সায়, যা আগের একই সময়ে ছিল ৩৪ টাকা ২৪ পয়সা।

ওয়েস্টান মেরিন শিপইয়ার্ড কোম্পানিটি ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৮ সালের মধ্যে একটি নতুন প্রকল্প শেষ শেষ করার পরিকল্পনা করেছে। এর কাজ শেষ হলে জাহাজ বানানোর ক্ষমতা একলাখ ২০ হাজার টন থেকে বেড়ে একলাখ ৫০ হাজার টন হবে। এতে কোম্পানিটি বছরে ১৫০ কোটি টাকা বাড়তি আয় করবে, মুনাফা বাড়বে ১১ শতাংশ।

কোম্পানিটি প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ১ দশমিক ২৫টি করে রাইট শেয়ার ইস্যু করে মূলধন তোলার পরিকল্পনা করেছে, যেখানে প্রতিটি শেয়ারে মূল্য হবে ১০ টাকা প্রিমিয়ামসহ ২০ টাকা।রাইট শেয়ার এবং অনুমোদিত মূলধন বাড়ানোর বিষয়ে বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) অনুমোদন হবে।

এছাড়া কোম্পানিটি তাদের অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৬০০ কোটি টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ২০১৪ সালে।

৩০ ডিসেম্বর কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) এবং ইজিএম অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ ডিসেম্বর।