সপ্তাহের শেষদিন বৃহস্পতিবার ডিএসইর সব সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি ডিএস৩০ সূচক সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৩৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৬ শতাংশ বেড়ে ছয় হাজার ১৯৩ পয়েন্টে পৌঁছেছে। লেনদেন হয়েছে ৮৭০ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১০৫ কোটি টাকা বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সিএএসপিআই সূচক ৯৯ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ১৯ হাজার ১৯৫। লেনদেন হয়েছে ৪৮ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড; যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় আট কোটি টাকা বেশি।
ডিএসইতে সূচক বাড়লেও লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দাম কমেছে।
এদিন দাম বেড়েছে ১৩০টির, কমেছে ১৪০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৫টির দাম।
অন্যান্য দিনের মতো ব্যাংক খাত লেনদেনে আধিপত্য বজায় রেখেছে। মোট লেনদেনের ৩৯ শতাংশ হয়েছে এ খাতে। ১৪ শতাংশ লেনদেন নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রকৌশল এবং ওষুধ খাত ও রসায়ন খাত। এরপর নয় শতাংশ লেনদেন হয়েছে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক খাত।
দরবৃদ্ধির শীর্ষে রয়েছে- রেকিট বেনকাইজার, গ্লাক্সো, জেমিনি সি ফুড, ইস্টার্ন কেবলস ও বেক্সিমকো ফার্মা।
দরপতনের শীর্ষে রয়েছে- কাশেম ড্রাইসেল, ওয়াইম্যাক্স, স্কয়ার টেক্সটাইল, সাভার রিফ্রাক্টরিজ ও স্কয়ার ফার্মা।
এদিন ব্লক মার্কেটে লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি টাকার; যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি নয় কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোবাকো কোম্পানির শেয়ার।
বৃহস্পতিবার ডিএস৩০ সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৪ পয়েন্টের বেশি বা দশমিক ৬৪ শতাংশ বেড়ে দুই হাজার ২৪৪ পয়েন্টে ঠেকেছে। এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ ছিল ২ হাজার ২২৬ দশমিক ৬০ পয়েন্ট।
২০১৩ সালের ২৯ জানুয়ারি ডিএসইর নতুন সার্বিক সূচক ডিএসইএক্সের সঙ্গে যুগপৎভাবে একহাজার ৪৬০ দশমিক ৩০ পয়েন্ট নিয়ে ডিএস৩০ সূচকের যাত্রা শুরু হয়েছিল।
বাজার মূলধন, তারল্য ও ধারাবাহিক মুনাফার ওপর ভিত্তি করে ডিএস৩০ সূচকে ৩০টি কোম্পানি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কেবল কোম্পানিগুলোর লেনদেনযোগ্য শেয়ার সংখ্যা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। যোগ্যতার শর্তপূরণের ভিত্তিতে এই সূচকে যোগ-বিয়োগ হয়। বাজার মূলধনের প্রায় ৫১ শতাংশই এই সূচকের।