এই কালক্ষেপণ কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং ঢাকা স্টক একচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কেন তদন্ত করা হবে না, নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে সেই কারণ জানাতে হবে।
একইসঙ্গে ২৬ অক্টোবরের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে ইউনিয়ন ক্যাপিটালের আবেদন নিষ্পত্তি করতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ইউনিয়ন ক্যাপিটালের এক আবেদনে বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদ ও বিচারপতি মোহাম্মদ সেলিমের বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়।
ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক খাতের কোম্পানি ইউনিয়ন ক্যাপিটাল থেকে বরিশাল পাওয়ারের নামে ঋণ নেওয়ার সময় একুশে টেলিভিশনের সাবেক চেয়ারম্যান সালাম তার নামে থাকা ওয়ান ব্যাংকের ৪৭ লাখ ৭০ হাজার শেয়ার ঋণের জামানত হিসেবে জমা রাখেন।
ওই ঋণ খেলাপি হয়ে গেলে সালামের জামানত জব্দ করার উদ্যোগ নেয় ইউনিয়ন ক্যাপিটাল।
গত বছর থেকে জব্দের প্রক্রিয়া শুরুর পর সর্বশেষ গত ১৭ জুলাই সময় বাড়ানোর জন্য ডিএসই বরাবর আবেদন করে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল কর্তৃপক্ষ।
৩১ ডিসেম্বর আর্থিক বছর শেষ হওয়ায় দুই মাস আগে অর্থাৎ ৩১ অক্টোবরে মধ্যে শেয়ার অধিগ্রহণের মতো বিষয় নিস্পত্তি করার বিধান থাকায় সময় চেয়ে আবেদন জানানো হয়।
ডিএসইর গড়িমসি দেখে ৮ অক্টোবর আদালতের দ্বারস্ত হয় কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ। আদালতে করা ইউনিয়ন ক্যাপিটালের আবেদনে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, ডিএসইর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কে এ এম মাজেদুর রহমান ও প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা এ কে এম জিয়াউল হাসান খানকে বিবাদী করা করা হয়।
আবেদনে নিষ্পত্তিতে আড়াই মাসের বেশি সময় লাগার কারণ জানতে চাওয়া হলে ডিএসইর প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা জিয়াউল হাসান খান কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।”
তিনি ডিএসইর সিইওর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। কথা বলার জন্য সিইও মাজেদুর রহমানকে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি।
ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার বুধবার ডিসএইতে সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ২৪ টাকা ২০ পয়সা। সে হিসাবে সালামের ৪৭ লাখ ৭০ হাজার শেয়ারের দাম সাড়ে ১১ কোটি টাকার বেশি।
পেরেগ্রিন নামে একটি বহুজাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে চলে যাওয়ার সময় তাদের শেয়ার কিনে ১৯৯৮ সালে ইউনিয়ন ক্যাপিটালের যাত্রা শুরু হয়।