তবে একই ধরনের ঘোষণা দেওয়ার পর মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) স্কয়ার গ্রুপের আরেক কোম্পানি স্কয়ার টেক্সটাইলের দর কিছুটা বাড়তে দেখা গেছে।
সোমবার কোম্পানি দুটির পর্ষদ সভায় লভ্যাংশ ঘোষণার পাশাপাশি আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে ডিএসইর ওয়েবসাইটে জানানো হয়।
ওষুধ অন্যতম শীর্ষ কোম্পানি স্কয়ার ফার্মা চলতি বছরের জুনে সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সাড়ে ৪২ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে ৩৫ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ৭ শতাংশ স্টক হিসেবে দেওয়া হবে।
গত বছর কোম্পানিটি ৪০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল।
এই ঘোষণার পর মঙ্গলবার ৭০ পয়সা কমে কোম্পানিটির শেয়ার ২৯৬ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন শেষ হয়েছে।
স্কয়ার ফার্মা সদ্য সমাপ্ত বছরে ১০ টাকার প্রতিটি শেয়ারে আয় করেছে ১৫ টাকা ৫১ পয়সা, যা আগের বছরে ছিল ১৩ টাকা ৯২ পয়সা। প্রতিটি শেয়ারে অর্থ প্রবাহ হয়েছে ১৩ টাকা ৯২ পয়সা, যা তার আগের বছরে হয়েছিল ১৪ টাকা দুই পয়সা।
স্কয়ার টেক্সটাইল শেয়ারধারীদের জন্য ২৫ শতাংশ লভ্যাংশের ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে ২০ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ স্টক। গত বছর কোম্পানিটির ২৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল।
ঘোষণা আসার পর ৯০ পয়সা দর বেড়ে ৬৫ টাকা ৪০ পয়সায় স্কয়ার টেক্সটাইলের শেয়ারের লেনদেন শেষ হয়।
স্কয়ার টেক্সটাইলের সোমবারের পর্ষদ সভায় ৩০ কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যে অর্থ দিয়ে বিএমআইর করতে কারখানা সম্প্রসারণের জায়গা কেনা হবে।
পাশাপাশি একটি তুলা উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে কোম্পানির উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোরও অনুমোদন দিয়েছে পর্ষদ। এর মাধ্যমে বছরে চার হাজার ৫১০ টন উৎপাদন বাড়বে। নতুন প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৯ কোটি টাকা।
২০১৮ সালের মের মধ্যে নতুন প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পর এতে বছরে ৯৮ কোটি টাকার টার্নওভার হবে, টার্নওভারের আট শতাংশের বেশি মুনাফা আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে জুন ২০১৭ সালে শেষ হওয়া অর্থ বছরে স্কয়ার টেক্সটাইলের শেয়ারপ্রতি আয় ও অর্থ প্রবাহ কমেছে।
সদ্যসমাপ্ত বছরে কোম্পানিটি ১০ টাকার প্রতিটি শেয়ারে আয় করেছে দুই টাকা ৩০ পয়সা, যা আগের বছরে ছিল চার টাকা ১৪ পয়সা। প্রতিটি শেয়ারে অর্থ প্রবাহ হয়েছে এক টাকা ২৯ পয়সা; যা তার আগের বছর ছিল সাত টাকা ৩৭ পয়সা।