তৎকালীন পশ্চিম জার্মানির হয়ে চারটি বিশ্বকাপে খেলা সাবেক এই স্ট্রাইকার দেশের হয়ে ৭২ ম্যাচে করেন ৪৩ গোল।
তার ক্লাব ক্যারিয়ারের পুরোটাই কাটে হামবুর্গের হয়ে। বর্তমানে জার্মান ফুটবলের দ্বিতীয় স্তরে থাকা এই দলটি শুক্রবার ৮৫ বছর বয়সে ক্লাবের সফলতম স্ট্রাইকারের মৃত্যুর কথা জানায়। ১৯৫৪ থেকে ১৯৭২ পর্যন্ত ক্লাবের হয়ে ৫৮০ ম্যাচে ৪৯০ গোল করেন তিনি।
২০০৩ সালে সিলারকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেয় হামবুর্গ।
পশ্চিম জার্মানিকে ৪০ ম্যাচে নেতৃত্ব দেন এই স্ট্রাইকার। এর মধ্যে আছে ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে যাওয়া বিশ্বকাপ ফাইনালও। তাকে ২০০৪ সালে ফিফার ১২৫ জীবিত সেরা ফুটবলারদের তালিকায় রেখেছিলেন পেলে।
কয়েক মিনিটের জন্য ব্রাজিলিয়ান এই ফুটবল কিংবদন্তিকেই পেছেন ফেলে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপের চার আসরে গোলের কীর্তি গড়েছিলেন সিলার।
তিনবার তিনি জেতেন জার্মানির সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। ১৯৬০ সালে ব্যালন ডি’অরে হন তৃতীয়।
বুন্ডেসলিগার অনেক ক্লাব তার মৃত্যুকে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে। ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থা উফেয়া জানিয়েছে, সিলারের প্রতি সম্মান জানিয়ে আগামী মঙ্গলবার উইমেন’স ইউরোর কোয়ার্টার-ফাইনালে জার্মানি ও অস্ট্রিয়া ম্যাচের আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হবে।