সিয়েরা লিওনের প্রথম বিভাগে ওঠার প্রতিযোগিতার দুটি ম্যাচে এমনই গোল বন্যার ঘটনা ঘটেছে। গালফ এফসি বনাম ককুইমা লেবানন এবং কাহুনলা রেঞ্জার্স বনাম লামবেবু ইউনাইটেড-এই দুটি ম্যাচে হয়েছে এত গোল। এই রাউন্ডের আগে গালফ ও কাহুনলার পয়েন্ট ছিল সমান; তাই শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট সমান হলে গোল ব্যবধানের হিসেবে তাদের সুপার-১০ ইস্টার্ন চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে প্রিমিয়ার লিগে ওঠা নির্ধারণ হতো।
বিরতির আগে গালফ ৭-১ গোলে এগিয়ে ছিল এবং কাহুনলা এগিয়ে ছিল স্রেফ ২-০ গোলে। কিন্তু বিরতির পর গোল হয় বানের স্রোতের মতো। এখানেই জাগে সন্দেহ।
শেষ পর্যন্ত গালফ ম্যাচে জিতে নেয় ৯১-১ ব্যবধানে এবং কাহুলনার জয়ের স্কোরলাইন ৯৫-০। দুই ম্যাচ মিলিয়ে ১৮০ মিনিটের খেলায় ১৮৭ গোল হয়েছে, অর্থাৎ মিনিট প্রতি একটির বেশি!
এমন অদ্ভূতুড়ে গোলের উৎসব দেখে এক ম্যাচের রেফারি ম্যাচ পরিচালনা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন বলে জানিয়েছে কোরিয়ে দেল্লো স্পোর্ত। দৈনিকটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রতিপক্ষকে সুযোগ দেওয়ার এমন ঘটনা দেখার পর এক ম্যাচের রেফারি নিজে থেকে সরে দাঁড়ান।
বিষয়গুলো নিয়ে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে সিয়েরা লিওনের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এসএলএফ। তারা ম্যাচ দুটি নিয়ে তদন্তে নামার কথা বলেছে।
বিবিসি স্পোর্ট আফ্রিকাকে এসএলএফএর সভাপতি টমাস ড্যাডি জানিয়েছেন, এমন বিব্রতকর পরিস্থিতি দেখে ‘চুপ’ করে এবং যারা জড়িত, তাদের ‘শাস্তি’ না দেখে বসে থাকতে চান না।
“আমরা দ্রুত তদন্ত শুরু করতে এবং এর জন্য যারা দায়ী, তাদের শাস্তির আওতায় আনতে যাচ্ছি।”
২০০২ সালে মাদাগাস্কারের ঘরোয়া ফুটবলে ক্লাব এএস আদেমা ১৪৯-০ গোলে হারিয়েছিল এসও আই’এমিরনেকে। গিনিজ অব রেকর্ডস অনুযায়ী, বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে এটাকেই ধরা হয় সবচেয়ে বড় স্কোরলাইন হিসেবে।
রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ওই ম্যাচে পরাজিত দলের খেলোয়াড়রা সবকটি গোলই করেছিল আত্মঘাতী।