২০০৭ সালে এসি মিলানের হয়ে ব্যালন ডি’অর জেতেন কাকা। ফরাসি সাময়িকীর দেওয়া এই পুরস্কার পাওয়া ব্রাজিলের চতুর্থ ও সবশেষ ফুটবলার তিনি। ভিনিসিউসের বিশ্বাস, একদিন হয়তো তিনি রোনালদো, রিভালদো, রোনালদিনিয়ো, কাকাদের পাশে বসার সুযোগ পাবেন।
২০২১-২২ মৌসুমটা স্বপ্নের মতো কাটালেও চলতি বছরের ব্যালন ডি'অর জেতার লড়াইয়ে সেভাবে নাও থাকতে পারেন ভিনিসিউস। তিনি নিজেও এখনই এটা নিয়ে খুব একটা ভাবতে চান না। তার বিশ্বাস, এই পুরস্কার জেতার জন্য সামনে অনেক সময় পাওয়া যাবে। এই বছর তার চোখে ফেভারিট রিয়াল মাদ্রিদ সতীর্থ করিম বেনজেমা।
অনেক সম্ভাবনা নিয়ে ২০১৮ সালে রিয়ালে যোগ দেন ভিনিসিউস। শুরু থেকে প্রতিভার ঝলক দেখালেও সেভাবে ধারাবাহিকতা দেখাতে পারছিলেন না তিনি। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে গত মৌসুম নিজেকে নতুনভাবে মেলে ধরেন তিনি ২১ বছর বয়সী এই ফুটবলার। বেনজেমার সঙ্গে মিলে গড়ে তোলেন দারুণ এক জুটি।
রিয়ালের লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে রাখেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। লিভারপুলের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ভিনিসিউসের গোলেই জেতে রিয়াল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫২ ম্যাচে ২২ গোল করেন তিনি, অবদান রাখেন সতীর্থদের ১৬ গোলে।
ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে গোল ও অ্যাসিস্ট মিলিয়ে তার চেয়ে এগিয়ে ছিলেন কেবল চার জন - কিলিয়ান এমবাপে (৬০), বেনজেমা (৫৯), ক্রিস্টোফা এনকুকু (৫১) ও মোহামেদ সালাহ (৪৬)।
এই পারফরম্যান্স ও ‘ডাবল’ জয়ের পরও অবশ্য চলতি মৌসুমে ব্যালন ডি’অরের ফেভারিট নন ভিনিসিউস। তবে ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী মিডফিল্ডার রিভালদোর আশা, ভবিষ্যতে ব্যালন ডি’অরের লড়াইয়ে ভালোভাবেই থাকতে পারেন রিয়াল ফরোয়ার্ড।
ভিনিসিউসেরও এ নিয়ে কোনো তাড়াহুড়ো নেই। ইউটিউব চ্যানেল ‘কি পাপিনিয়োয়’ গত মঙ্গলবার এক আলাপচারিতায় বলেন, উন্নতির ধারা ধরে রাখতে পারলে আগামীতে তার পক্ষে ব্যালন ডি’অর জেতা সম্ভব।
“এটা (ব্যালন ডি'অর) এমন কিছু, যা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ধরেই আসে। করিমের (বেনজেমা) বয়স ৩৪ এবং এখন তিনি এটি জিতবেন, মদ্রিচ পুরস্কারটি ৩৩ বছর বয়সে (২০১৮ সালে) জিতেছিলেন।”
“উন্নতির জন্য আমার হাতে অনেক বছর আছে, ঈশ্বর যদি চান তাহলে অনেক দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আমি একদিন এটি জিততে পারব।”
বেনজেমা, মদ্রিচদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত শেখার চেষ্টা করেন ভিনিসিউস। উপভোগ করেন অভিজ্ঞ এই ফুটবলারদের সমর্থন। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের আশা, একদিন বেনজেমা-মদ্রিচদের মতোই সমৃদ্ধ হবে তার ক্যারিয়ার।
“আমার বয়স মাত্র ২১। আমি করিম, মদ্রিচ, মার্সেলোর মতো খেলোয়াড়দের অনুসরণ করতে চাই, যারা পাঁচটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতেছেন। আমি যতটা সম্ভব তাদের কাছাকাছি যেতে চাই। কেবল তখনই আমাকে (একজন রোল মডেল) হিসেবে দেখা হবে।”
“বেনজেমার প্রতি আমার যে শ্রদ্ধা রয়েছে, তিনি তার প্রতিদান দিয়েছেন। তিনি এমন একজন খেলোয়াড় যাকে আমি দীর্ঘদিন ধরে অনুসরণ করছিলাম। আমি তার একজন বড় ভক্ত এবং আজ তার সঙ্গে খেলতে পারা আমার জন্য দারুণ ব্যাপার। তিনি সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তার চোখে আমাকে বিশ্বের সেরা পাঁচে রেখেছেন, এতে আমি সত্যিই খুব খুশি হয়েছি।”