মুন্সিগঞ্জের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেনেন্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে সোমবার মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে ৭-১ গোলে হারায় রহমতগঞ্জ।
প্রথম লেগের দেখায়ও মুক্তিযোদ্ধাকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল পুরান ঢাকার দলটি। সেটাই ছিল তাদের আগের সবশেষ জয়।
চলতি লিগে এটাই সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়। আগের জয়টি ছিল বসুন্ধরা কিংসের; গত এপ্রিলে উত্তর বারিধারাকে ৬-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল তারা।
১০ ম্যাচ পর লিগে জয়ে ফেরা রহমতগঞ্জ ১৮ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে উঠে এসেছে নবম স্থানে। ১১ পয়েন্ট নিয়ে অবনমন অঞ্চলে নেমে গেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ১১তম। তলানিতে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের পয়েন্ট ৯।
১৮ রাউন্ড শেষে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে কিংস। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আবাহনী লিমিটেডের পয়েন্ট ৩৮। ৩৩ করে পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে আছে সাইফ স্পোর্টিং ও শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব।
২৫তম মিনিটে মাহমুদুল হাসান কিরণের কর্নারে হেডে রহমতগঞ্জকে এগিয়ে নেন ঘানার ফরোয়ার্ড ফিলিপ আজাহ। তিন মিনিট পর সুদি আব্দুল্লাহর নিচু জোরাল শট আটকে দলকে স্বস্তিতে রাখেন গোলরক্ষক জিয়াউর রহমান।
ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষকের দৃষ্টিকটু ভুলে ৩৭তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। বদলি নামা নিয়ামুর রহমান শাহেদ বক্সের বেশ বাইরে থেকে ক্রস বাড়ান। দুই সেন্টার-ব্যাকের মধ্যে সামনে থাকা তারেক মিয়া হেড করতে পারেননি। আরেক ডিফেন্ডার মেহেদি হাসান ও গোলরক্ষক মোহাম্মদ রাজীব ছিলেন পাশাপাশি। ক্লিয়ার করতে পারেননি কেউই। মেহেদির পা ছুঁয়ে বল পোস্টে লাগার পর সানডে চিজোবা টোকায় ফাঁকা জাল খুঁজে নেন।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে নবাবের দৃষ্টিনন্দন গোলে ম্যাচে ফেরার উপলক্ষ পায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। সুদি আব্দুল্লাহর পাস ধরে বক্সে কিছুটা সময় নেন কাতার প্রবাসী এই ফরোয়ার্ড। ড্রিবল করে বাঁ পায়ের নিখুঁত টোকায় দুই ডিফেন্ডার মাহমুদুল হাসান কিরণ ও শাহেদের ফাঁক দিয়ে বল বের করে নিয়ে দারুণ শটে জাল খুঁজে নেন তিনি।
এরপর যদিও আর মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
৫৩তম মিনিটে চিজোবার শট আটকান মুক্তিযোদ্ধা সংসদ গোলরক্ষক রাজীব। কিন্তু ৬৮তম মিনিটে অবিশ্বাস্য এক গোল হজম করে বসেন তিনি। মাঝমাঠের একটু উপর থেকে আল আমিন আচমকাই পোস্টের উদ্দেশে শট নেন। বল হাওয়ায় ভেসে লাফিয়ে ওঠা রাজীবকে বোকা বানিয়ে জালে জড়ায়।
একটু পর রাজীবকে তুলে নিয়ে লিমন হোসেনকে পোস্ট সামলানোর দায়িত্ব দেন মুক্তিযোদ্ধা কোচ রাজা ইসা। কিন্তু তিনিও পারেননি। ৮২তম মিনিটে কর্নার থেকে ল্যান্সিং তোরের অনেকটা লাফিয়ে উঠে নেওয়া হেড রুখতে পারেননি লিমন।
এরপর খন্দকার আশরাফুল ইসলামের শট, শেষ দিকে চিজোবার স্পট কিক এবং দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে আজাহর নিখুঁত চিপ আটকাতে পারেননি লিমন। বড় হারের তেতো স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।
দিনের অন্য ম্যাচে রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘকে ১-০ গোলে হারিয়েছে পুলিশ এফসি। ৭১তম মিনিটে স্পট কিকে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন আমিরউদ্দিন শরিফি।
১৮ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে পুলিশ।