‘ডি ইয়ংকে বিক্রির ইচ্ছা নেই বার্সার’

উপযুক্ত প্রস্তাব পেলে ফ্রেংকি ডি ইয়ংকে ছেড়ে দিতে পারে বার্সেলোনা, বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে এমন গুঞ্জন। ডাচ মিডফিল্ডার অবশ্য সরাসরি জানিয়েছেন, কাম্প নউয়েই থাকতে চান তিনি। এবার কাতালান ক্লাবটির সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা সমর্থকদের শোনালেন আশার কথা। বললেন, ডি ইয়ংকে বিক্রির কোনো পরিকল্পনা নেই তাদের।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 July 2022, 12:02 PM
Updated : 3 July 2022, 01:18 PM

ডাচ চ্যাম্পিয়ন আয়াক্সের হয়ে দারুণ পারফরম্যান্স দেখানোর পর অনেক সম্ভাবনা নিয়ে ২০১৯ সালে বার্সেলোনায় যোগ দেন ডি ইয়ং। তাকে ধরা হচ্ছিল, সময়ের সেরা তরুণ মিডফিল্ডারদের একজন হিসেবে।

এখন পর্যন্ত বার্সেলোনার জার্সিতে ১৩৭টি ম্যাচ খেলেছেন ডি ইয়ং। জালের দেখা পেয়েছেন ১২ বার। গত বছরের শেষের দিকে রোনাল্ড কুমানের জায়গায় শাভি এরনান্দেস কোচ হয়ে আসার পর মাঝমাঠে উত্থান হয় পেদ্রি, গাভি এবং নিকো গনসালেসের। এই সময়ে মাঝে মধ‍্যে ডি ইংয়ের ফর্ম নিয়েও সমালোচনা হয়েছে।

মৌসুম শেষের পর থেকে মাঝেমধ্যেই আসতে থাকে ‘বার্সেলোনা ডি ইয়ংকে বিক্রি করে দিতে পারে’ এমন খবর। তাকে দলে পেতে আগ্রহী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড নাকি লা লিগার ক্লাবটির সঙ্গে আলোচনায় অনেকটা এগিয়েও গেছে।

শোনা যাচ্ছে, আয়াক্সে থাকাকালীন ডি ইয়ংয়ের কোচ এরিক টেন হাগ খুব করে ম্যানচেস্টারের ক্লাবটিতে চান সাবেক শিষ্যকে। ২০২২-২৩ মৌসুম থেকে ইউনাইটেডের কোচ হিসেবে যাত্রা শুরু হচ্ছে তার।

ডি ইয়ং অবশ্য এই মুহূর্তে বার্সেলোনা ছাড়ার চিন্তা করছেন না। গত মে মাসে তিনি বলেছিলেন, এটি তার ‘স্বপ্নের ক্লাব’ এবং তিনি এখানেই থেকে যেতে চান।

সম্প্রতি কাম্প নউয়ে সাংবাদিকদের লাপোর্তা বলেন, ডি ইয়ংকে ধরে রাখার জন্য তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।

“ফ্রেংকি ডি ইয়ং বার্সার খেলোয়াড় এবং তাকে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আমরা জানি যে শুধুমাত্র ইউনাইটেডই নয়, অন্য ক্লাবও তাকে চায়। তবে আমাদের তাকে বিক্রি করার কোনো ইচ্ছা নেই। আমার ধারণা, ডি ইয়ংও এখানেই থাকতে চায়।”

“সে বার্সায় স্বাচ্ছন্দ্যে আছে এবং ফ্রেংকিকে এখানে রাখতে আমার পক্ষে যতটা সম্ভব আমি করব। তবে বেতনের বিষয়টিও রয়েছে এবং এটার সমাধান করতে হবে।”

২০২১-২২ মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৭ ম্যাচ খেলেছেন ডি ইয়ং এবং গোল করেছেন ৩টি। ক্লাবটির হয়ে কমপক্ষে ২০ ম্যাচ খেলা মিডফিল্ডারদের মধ্যে সঠিক পাস দেওয়ার তালিকায় সবার ওপরে ছিলেন তিনি (৯১.১৮ শতাংশ)।