‘বাংলাদেশ-ইরাক ম্যাচ বাস্তবায়নযোগ্য কিনা ভাবতে হবে’

নিজেদের বর্তমান অবস্থা পরখ করে নেওয়া, উন্নতির পথ খুঁজতে র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা দলগুলোর বিপক্ষে খেলা প্রাধান্য দেয় অনেক দেশ। বাংলাদেশের ভাবনাও তেমনি। কিন্তু প্রতিপক্ষের সঙ্গে র‌্যাঙ্কিংয়ের ব্যবধান খুব বেশি হলে দুর্ভানার জায়গাও থাকে কিছুটা। ইরাকের বিপক্ষে ম্যাচ আয়োজনের গুঞ্জনের মধ্যে ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ জানালেন নিজেদের অবস্থান।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 July 2022, 02:34 PM
Updated : 2 July 2022, 02:34 PM

ফিফার বর্তমান র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ ১৯২তম; ইরাক ৭০তম। অর্থাৎ র‌্যাঙ্কিংয়ের ব্যবধান ১২২ ধাপ! এশিয়ান ফুটবলের শক্তিশালী দলগুলোর মধ্যে একটি ইরাক, তাদের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের খবর চাউর হয়েছে। সাফের কংগ্রেসে এসে এ নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে নাবিল জানালেন কিছুটা এগিয়ে থাকা দলগুলোর বিপক্ষে খেলার প্রতি আগ্রহী তিনি।

“ইরাকের বিপক্ষে ম্যাচের বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি গণমাধ্যমের মাধ্যমে। ওদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে জানিয়েছে। তারা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে এ তথ্য পাঠিয়েছে। বিষয়টি এখনও আমাদের কাছে আসেনি। হয়ত আগামীকাল আসবে। তখন আমরা ভেবে দেখব এটা কতটুকু বাস্তবায়নযোগ্য।”

“মনে রাখতে হবে, ইরাক ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে আমাদের চেয়ে অনেক ধাপ এগিয়ে। আমাদেরকে চিন্তা করে দেখতে হবে, এ মুহূর্তে তাদের বিপক্ষে আমাদের খেলাটা প্রযোজ্য কিনা। কিছুদিন আগে আমরা মালয়েশিয়াতে খেলে এলাম। তাদের বিপক্ষে খেলতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। এজন্য ফিফা উইন্ডোতে সময়টা বের করতে হবে।”

সাফের সদস্য ৭টি দেশের ক্লাব নিয়ে ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের কথাও শোনা যাচ্ছে অনেক দিন ধরে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি পদে থাকা নাবিল ঘরোয়া ফুটবলের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব আবাহনী লিমিটেডের ডিরেক্টর ইন চার্জও। সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের ইতিবাচক দিক জানানোর পাশাপাশি মনে করিয়ে দিলেন বাস্তবতাও।

“যদি সাফের দেশগুলোর ক্লাবগুলো নিয়ে প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করা যায়, তাহলে আমাদের ফুটবলারদের খেলার জায়গা আরও বাড়াবে। যদি এক দেশ থেকে একাধিক ক্লাব খেলে, তাহলে খেলোয়াড়রা আরও বেশি সুযোগ পাবে।”

“সেক্ষেত্রে আমাদের চেষ্টা করতে হবে ক্লাব কাপ আয়োজনের জন্য সময় বের করার। এটা বের করা কঠিন বলেই এতদিন প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এখানে মূলত দুটি বিষয় খুব দরকারি, প্রথমত ক্লাবগুলো খেলার জন্য অ্যাভেলএবেইল থাকা এবং দ্বিতীয়ত পৃষ্ঠপোষকতা। এগুলো যদি সাফ মেলাতে পারে, তাহলে প্রতিযোগিতাটি হবে।”

সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ হোম অর অ্যাওয়ে ভিত্তিতে আয়োজনের পরিকল্পনা করছে সংস্থাটি। অর্থাৎ এক দেশে প্রতিযোগিতাটি না হয়ে একাধিক দেশে হবে। প্রস্তাবটি এমন যে, একটি নির্দিষ্ট দিনে তিনটি দেশে গিয়ে বাকি দেশগুলো ম্যাচ খেলবে। বাস্তবতার নিরিখে সেটা কঠিন বলে মনে করেন নাবিল।

“আমার মনে হয় এভাবে সাফ আয়োজন করা কঠিন হবে। যেকোনো এক ভেন্যুতে হলে সেটা অনেক বেশি সহজ হবে, সময়ের সাশ্রয় হবে। ”