এরিক টেন হাগের কোচিংয়ে এর আগে ডাচ ক্লাব আয়াক্সে খেলেছেন ডি ইয়ং। সূত্রের বরাত দিয়ে ইএসপিএন লিখেছে, এই মিডফিল্ডারকে ছাড়তে প্রাথমিকভাবে ১০ কোটি ইউরো চেয়েছে বার্সেলোনা।
স্প্যানিশ ক্লাবটির প্রতি ডি ইয়ংয়ের ভালোবাসার কথা ভালো করেই জানেন কুমান। কদিন আগের আলাপ থেকে ডাচ এই কোচ জানান, দলবদল ডি ইয়ংয়ের ভাবনায় নেই।
“ফ্রেংকির কাছ থেকে থেকে আমি শুধু একটা বিষয়ই জেনেছি, সে বার্সেলোনাতেই থাকতে চায়। কদিন আগেই সে বলেছে, ‘আমি বার্সেলোনায় থাকতে চাই’। কিন্তু আমি জানি না, বার্সেলোনা ফ্রেংকিকে বিক্রি করতে চায় কিনা বা তাদের শুধু অর্থই প্রয়োজন কি না… কারণ, আমার মনে হয়, সে তাদের অল্প কয়েকজন খেলোয়াড়ের একজন, যাদের দাম বেশি।”
প্রথম মেয়াদে ২০১৮-২০ নেদারল্যান্ডসের কোচ থাকার সময় ডি ইয়ংকে কোচিং করিয়েছেন কুমান। পরে তারা এক সঙ্গে কাজ করেন বার্সেলোনাতেও। গত বছর নভেম্বরে কুমানকে সরিয়ে শাভি এরনান্দেসকে দায়িত্ব দেয় দলটি।
শাভির কোচিংয়ে মিডফিল্ডে উত্থান হয় পেদ্রি, গাভি এবং নিকো গনসালেসের। এই সময়ে মাঝে মধ্যে ডি ইংয়ের ফর্ম নিয়েও সমালোচনা হয়েছে। কাতার বিশ্বকাপের পর আবার ডাচ জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে যাওয়া কুমান মনে করেন, বার্সেলোনায় বেশ পেছনে নেমে খেলা পজিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেননি বলেই এমন হয়ে থাকতে পারে।
“হতে পারে সে (ডি ইয়ং) পজিশনের কারণে পুরোপুরি মানিয়ে নিতে পারেনি। সে আরও পেছনে খেলছিল।”
“তবে তারও সময় এসেছিল। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে সে দারুণ কিছু পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছিল। সে অসাধারণ একজন খেলোয়াড় তবে বার্সেলোনায় পরিস্থিতি জটিল।”