কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত স্টেডিয়ামে সোমবার প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডানের জয় ৩-১ গোলে। প্রথম লেগে শেখ জামালের বিপক্ষে ১-১ ড্র করেছিল তারা।
দুই বড় দলের লড়াইয়ে কৌতুহলের জায়গা ছিল মানিককে নিয়ে। চলতি জুনের শুরুর দিকে মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের হাল ধরার আগে সবশেষ শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ধানমণ্ডির ক্লাবটি থেকে গত বছর তার বিদায় সুখকর ছিল না। ম্যাচ শুরুর ঘণ্টা তিনেক আগে তাকে ছাঁটাই করেছিল শেখ জামাল।
চলতি লিগের মাঝপথে হঠাৎ করেই মোহামেডানের দায়িত্ব ছাড়েন শন লেন। হাল ধরেন মানিক। তার শুরুটা হয় আবাহনীর বিপক্ষে হেরে। তবে শেখ জামালকে হারিয়ে জয়ে ফিরল মোহামেডান।
প্রথমার্ধে বলের নিয়ন্ত্রণে ও আক্রমণে এগিয়ে থাকা মোহামেডান শুরুর দিকেই এগিয়ে যেতে পারতো। তবে ওবি মোনেকের বাঁ পায়ের কোনাকুনি শট দূরের পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। ২৫তম মিনিটে শেখ মোরসালিনের ফ্রি কিকে অ্যারন রেয়ারডনের হেডও ক্রসবার কাঁপায়।
৩৪তম মিনিটে কাঙ্খিত গোলের দেখা পায় আগের ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর কাছে ৪-২ গোলে হেরে আসা মোহামেডান। মোহাম্মদ ফাহিমের ক্রসে মোরসালিনের নিখুঁত সাইড ভলি চোখের পলকে জালে জড়ায়।
৪৩তম মিনিটে স্পট কিক থেকে লক্ষ্যভেদ করে দিয়াবাতে একটু আগের ভুলের ক্ষতি পুষিয়ে দেন। মোহমেডান অধিনায়কের সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে রায়হান হাসান হ্যান্ডবল করলে পেনাল্টিটি পায় তারা।
দ্বিতীয়ার্ধে আবারও পোস্ট বাধা হয়ে দাঁড়ায় মোহামেডানের। ৫৫তম মিনিটে শাহরিয়ার রিমনের শট কাছের পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ৬৯তম মিনিটে মোহামেডানের ত্রাতা গোলরক্ষক আহসান হাবিব বিপু। ওতাবেকের ফ্রি কিক অনেকটা লাফিয়ে উঠে ফেরানোর পর গোলমুখ থেকে সলোমন কিংয়ের টোকাও আটকান তিনি।
৮৩তম মিনিটের দিয়াবাতের পেনাল্টি গোলে জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় মোহামেডানের। ফরহাদ মনার পাস বক্সে আরিফুল ইসলাম হাত দিয়ে আটকালে স্পট কিকের বাঁশি বাজান রেফারি।
শেষ দিকে পোস্টে বল লাগার হতাশায় পোড়ে শেখ জামালও। যোগ করা সময়ে মুসা নাজারের শট পোস্টে লেগে ফিরলে লিগে টানা দ্বিতীয় হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে দলটি।
১৭ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে আছে মোহামেডান। ৩০ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে থাকা শেখ জামালেরও শিরোপা আশা বলতে গেলে শেষ।
১৭ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বসুন্ধরা কিংস। ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আবাহনী লিমিটেড।