১৭টি কর্নার পেয়েও কাজে লাগাতে না পারার আক্ষেপ ছোটনের

সুযোগ তৈরি হলো বেশ কিছু। কর্নার মিলল ১৭টি। কিন্তু রক্ষণের চাদরে নিজেদের মুড়িয়ে রাখা মালয়েশিয়ার জালে বল পাঠাতে পারল না বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় আক্ষেপ ঝরল বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের কণ্ঠে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 June 2022, 03:54 PM
Updated : 26 June 2022, 03:54 PM

কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে রোববার দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে মালয়েশিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ৬-০ গোলে জেতায় ছোটনের দল সিরিজ জিতে নিয়েছে ১-০ ব্যবধানে।

সিরিজ জয় নিয়ে তৃপ্তি থাকলেও দ্বিতীয় ম্যাচে গোল না পাওয়া নিয়ে হতাশ ছোটন। প্রতিপক্ষের অতিরক্ষণাত্মক কৌশলও গোল না পাওয়ার কারণ বলে মনে করেন তিনি।

“গত ম্যাচের মতোই মেয়েরা শুরু করেছিল। ৯০ মিনিটই তারা খেলার মধ্যে ছিল। আপনারা যদি পরিসংখ্যান দেখেন, আমরা ১৭টি কর্নার পেয়েছি। আজকে কিন্তু আমাদের খেলা একই ধাঁচের ছিল। ১৭টি কর্নার সেটা প্রমাণ করে। কিন্তু খেলায় ভালো বা মন্দ দিন বলে একটা কথা আছে, আমাদের ক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে।”

“আগের ম্যাচে আমরা গোলের সুযোগ তৈরি করেছি, সুযোগগুলো কাজে লাগিয়েছি, আজকে অনেকগুলো সুযোগ তৈরি করেছি, কিন্তু কাজে লাগাতে পারিনি। মেয়েরা চেষ্টা করেছে, কিন্তু টাইমিংটা হয়নি। আমরা আমাদের মতো আক্রমণাত্মক খেলেছি, ওরা পুরোটা সময় রক্ষণাত্মক খেলেছে।”

আগামী অগাস্টে মাঠে গড়াবে মেয়েদের সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ। মালয়েশিয়ার বিপক্ষে দুই ম্যাচে দলকে পরখ করে নিতে পারায় খুশি ছোটন। এখন তিনি কষছেন সাফের ছক।

“এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের পর আমরা এই দুইটা ম্যাচ খেললাম। মালয়েশিয়া শক্তিশালী দল, র‌্যাঙ্কিংয়ে অনেক এগিয়ে। এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের পর আমরা যে ট্রেনিং করেছি, এই দুটি ম্যাচ খেলার পর মেয়েদের অবস্থা আমরা খুব ভালোভাবে জানতে পারলাম। আশা করি, সাফে আমরা ভালো একটা অবস্থানে থাকব।”

প্রস্তুতি শানিয়ে নিতে সাফের আগে আরও ভালো দলের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার দাবিও জানিয়ে রাখছেন ছোটন।

“মালয়েশিয়ার সাথে আমরা দুইটা ম্যাচ খেললাম। আমাদের মেয়েরা যে উন্নতি করেছে, সেটা তাদের খেলায় দেখা গেছে, তারা সেটা প্রমাণ করেছে। যদি সামনে আরও ভালো দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পায়, তাদের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে। এখানে দুটি ম্যাচ খেললাম, যদি এখন মেয়েরা তৃতীয় বা চতুর্থ ম্যাচ খেলে, আমি মনে করি, তাদের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে। পারফরম্যান্সের উন্নতি হবে।”

জুলাইয়ের এএফএফ কাপ সামনে রেখে দল গুছিয়ে নিচ্ছেন মালয়েশিয়া কোচ জ্যাকব জোসেফ। সিরিজ হারলেও দলের বর্তমান অবস্থান জানতে পেরে খুশি তিনি।

“প্রথমত বাফুফেকে আমাদের ম্যাচ খেলতে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ধন্যবাদ। এ ম্যাচ দুটি আমরা খেলতে এসেছিলাম এএফএফ টুর্নামেন্টের আগে নিজেদের অবস্থা বোঝার জন্য। প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য। এটা আমার জন্য খুব ভালো হয়েছে। (সিরিজে হারলেও) খেলোয়াড়দের সম্পর্কে অন্তত আমি জানতে পেরেছি।”

“প্রথম ম্যাচে আমি জানতাম না বাংলাদেশ কীভাবে খেলে। দ্বিতীয় ম্যাচে আমি জানতাম তাদের কৌশল এবং তারা কোন দিক দিয়ে আক্রমণ করবে, আমি সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আজ আমাদের খেলোয়াড়রা ঠিকঠাক রক্ষণ সামলাতে পেরেছে।”