'গোল যদি ১০টা দেওয়া যায়, দশটাই দিতে চাইব'

গোল করতে কার না ভালো লাগে। সাবিনা খাতুনও চান, যত বেশি সম্ভব গোল করতে। তবে কেবল নিজে নয়, সতীর্থদের দিয়ে গোল করানোতেও তৃপ্তি অনুভব করেন বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক। মালয়েশিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামার আগে তিনি প্রতিশ্রুতি দিলেন, সুযোগ পেলে আবারও প্রতিপক্ষকে গোলে ভাসিয়ে দেওয়ার।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 June 2022, 12:32 PM
Updated : 25 June 2022, 01:14 PM

কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে রোববার সন্ধ্যা ৬টায় মুখোমুখি হবে দুই দল। দুই প্রীতি ম্যাচের প্রথমটিতে মালয়েশিয়াকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ।

সেদিন একটি চোখ ধাঁধানো গোল করেন সাবিনা। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে কাটিয়ে নিখুঁত কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নিয়েছিলেন এই তারকা ফরোয়ার্ড।

নিকট অতীতে জাতীয় দলের গোল মানেই সাবিনা। কিন্তু নিজের মতো সতীর্থদেরও গোলের আনন্দে ডানা মেলা দেখতে চান তিনি। মালয়েশিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচ সামনে রেখে জানালেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দলের জয়।

“প্রথমত বড় ব্যাপার হচ্ছে, আমাদের সিনিয়র টিম ভালো রেজাল্ট করছে। জাতীয় দলের বড় একটা সাফল্য আসবে, ঘরের মাঠে সেটা বাংলাদেশের জন্য বড় একটা পাওয়া। আমার এখন গোল করা থেকে গোল করাতেও অনেক ভালো লাগে।”

“গত ম্যাচে আমাদের বিশেষ করে সেট-পিসগুলো আমি নিয়েছি, পরিকল্পনাও ছিল এরকম। যখন আমার ছোটরা গোল করে, সেটা দেখতে আমার ভালো লাগে। গোল করা অবশ্যই বেশি আনন্দের, তবে গোল করাতেও আনন্দ লাগে।”

প্রথম ম্যাচে জয়ের ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। তা নিয়ে অবশ্য আক্ষেপ নেই সাবিনার। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে আরও বড় জয়ের প্রত্যাশা থাকলেও গোল পাওয়ার পথটা কঠিন হতে পারে বলে মনে করেন অধিনায়ক।

“গোল যদি দশটা দেওয়া যায়, আমরা তো দশটাই দিতে চাইব। মালয়েশিয়া যেহেতু প্রথম ম্যাচ হেরেছে, ওরাও হয়ত পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনবে কিভাবে গোল কম খাওয়া যায়, বা কিভাবে আমাদের গোল দিতে পারবে। তাই তারা শক্তভাবেই ম্যাচে আসবে।”

দুই প্রীতি ম্যাচের সিরিজ জয়ের হাতছানি বাংলাদেশের সামনে। তা লুফে নেওয়ার বার্তাও সতীর্থদের দিলেন অধিনায়ক।

“আমরা এখনও আত্মবিশ্বাসী। এ দিক থেকে আমরা মনোযোগ সরাচ্ছি না, সরানোরও উপায় নেই। যেহেতু মালয়েশিয়া আগের ম্যাচে হেরেছে, এ ম্যাচে ওরা আরও ভালোভাবেই আসবে। এটাই স্বাভাবিক। আমাদের ছোট ছোট যে কমতি ছিল, সেগুলো কোচেরা বলে দিয়েছেন, সেগুলো শুধরে নিয়েছি। আমরাও আশাবাদী যে আমরা সিরিজ জয়ের দিকেই থাকব।”

“খেলোয়াড়রা সবসময় ফোকাসড আছে, এর আগের ম্যাচটা যেহেতু আমরা ভালোভাবে শুরু করতে পেরেছিলাম, শেষ করেছি ভালোভাবে। আগামীকাল আমাদের টার্গেট থাকবে দর্শকদের বিনোদন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষকে ভালো খেলা উপহার দেওয়া। দর্শক যখন মাঠে আসে, ভালো খেলা দেখার আশা নিয়েই আসে। আমরা চেষ্টা করব, তারা যেন খুশি হয়ে বাড়ি ফিরতে পারে।”

প্রথম ম্যাচে জোড়া গোল করেন আঁখি খাতুন। দারুণ দৃঢ়তার রক্ষণ সামলানোর পাশাপাশি সেট-পিসের মুহূর্ত এলেই তিনি ছুটে যান প্রতিপক্ষের বক্সে। দ্বিতীয় ম্যাচ সামনে রেখে তিনিও জানালেন আরও ভালো খেলার লক্ষ্য।

“আমরা সবাই চেষ্টা করব, প্রথম ম্যাচে যেভাবে খেলেছি, দ্বিতীয় ম্যাচে আরও ভালো করার। দর্শক যারা মাঠে আসবে, তারা যেন হাসিমুখে ফিরতে পারে, আমরা সে চেষ্টাই করব।”