নিঃস্বার্থ মানসিকতার কারণে মানেকে দলে টেনেছে বায়ার্ন: নাগেলসমান

প্রথম আলাপেই সাদিও মানেকে মনে ধরে যায় ইউলিয়ান নাগেলসমানের। সেনেগালের এই ফরোয়ার্ডের নিঃস্বার্থ মনোভাব তাকে দলে টানার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছিল বলে জানালেন বায়ার্ন মিউনিখ কোচ।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 June 2022, 04:02 PM
Updated : 23 June 2022, 04:02 PM

তিন বছরের চুক্তিতে গত বুধবার লিভারপুল থেকে বায়ার্নে যোগ দেন মানে। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তাকে কিনতে চার কোটি ইউরো খরচ হয়েছে জার্মান ক্লাবটির।

এত অর্থ খরচ করতে বায়ার্নকে বাড়তি অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে মানের দল অন্তপ্রাণ মানসিকতা। আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে বায়ার্নের খেলোয়াড় হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার অনুষ্ঠানে মানে বলেন, দলের প্রয়োজনে তিন বা চারটি পজিশনে খেলতেও আপত্তি নেই তার।

লিভারপুলে থাকতেও বেশ কয়েকটি পজিশনে খেলতে দেখা গেছে তাকে। সবসময়ই নিজের কাজটা সবসময়ই ঠিকঠাকমতো করে অবদান রেখেছেন দলটির সাফল্যে। তবে দলে রবের্তো ফিরমিনো, মোহামেদ সালাহদের মতো তারকা থাকায় অধিকাংশ সময়ই আড়ালে থাকতে হয়েছিল মানেকে। এটা নিয়ে কখনও অবশ্য অসন্তোষ প্রকাশ করেননি তিনি।

নিজের চেয়ে দলের স্বার্থ এগিয়ে রাখা মানের এই মানসিকতাই বড় ভূমিকা রেখেছিল তার প্রতি বায়ার্নের আগ্রহে। জার্মান ক্লাবটির ওয়েবসাইটে বৃহস্পতিবার নাগেলসমান তুলে ধরলেন, প্রথম কথোপকথনে বায়ার্নের প্রতি মানের নিবেদন দেখে তাকে দলে টানার জন্য তাদের আগ্রহ বেড়ে গিয়েছিল।

“প্রথম কথোপকথন থেকেই সে খুব নিঃস্বার্থ মনোভাব দেখিয়েছিল, যা এত বড় মাপের একজন খেলোয়াড়ের জন্য অসাধারণ ব্যাপার। সে খুব বিনয়ের সঙ্গে বলেছিল, সে যেকোনো পজিশনে খেলতে পারবে।”

“প্রথম কথোপকথনে এমনটা দেখা বিরল অভিজ্ঞতা, যেখানে একজন খেলোয়াড় নিজেকে পুরোপুরিভাবে ক্লাব ও কোচের জন্য নিবেদন করে। এটিই তাকে দলে টানার জন্য আমাদের তাগিদ আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল।”

নাগেলসমানের বিশ্বাস, মানের ভিন্ন ভিন্ন পজিশনে খেলতে পারার দক্ষতা বায়ার্নকে বাড়তি সুবিধা দেবে।

“কখনও কখনও আর্থিক সীমাবদ্ধতা আমাদের আঘাত করে, বিশেষ করে যারা ইংল্যান্ডে খেলছে তাদের দলে টানার ক্ষেত্রে। সাদিওর ক্ষেত্রে এটি ভিন্ন ছিল, কারণ আমাদের পরিকল্পনা, আমাদের ক্লাব এবং সতীর্থদের প্রতি শুরু থেকেই তার মধ্যে আগ্রহ দেখতে পেয়েছি। তাকে পেয়ে আমি আনন্দিত।”

বায়ার্নে গত কয়েক মৌসুম ধরে ধারাবাহিকভাবে দুর্দান্ত খেলে চলেছেন রবের্ত লেভানদোভস্কি। গোলের পর গোল করছেন। তবে ২০২১-২২ মৌসুম শেষে তিনি জানিয়ে, দিয়েছেন আর থাকতে চান না এখানে। তাই মাঠে মানের পজিশনের ক্ষেত্রে পোলিশ তারকা থাকলে একরকম আবার চলে গেলে অন্যরকম হতে পারে। কোচের কথাওতে তেমনই ইঙ্গিত মিলল।

“আমাদের অপেক্ষা করতে হবে এবং দলবদলে কী হয়, তা দেখতে হবে। তবে সাদিও এমন একজন খেলোয়াড় যে সহজেই চার বা পাঁচটি পজিশনে খেলতে পারে - এবং ম্যাচ চলাকালীন সময়ও (পজিশন) পরিবর্তন করতে পারে।”

২০১৬ সালে লিভারপুলে যোগ দেওয়ার পর থেকে ক্লাবটির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২৬৯ ম্যাচ খেলেছেন মানে, গোল করেছেন ১২০টি। দলটির হয়ে ২০১৮-১৯ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পরের মৌসুমে জেতেন প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা। বিদায়ী মৌসুমেও দারুণ ছন্দে ছিলেন তিনি, সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২৩ গোল করে অবদান রাখেন দলটির লিগ কাপ ও এফএ কাপ জয়ে।