অনেক সম্ভাবনা নিয়ে ২০১৮ সালে রিয়ালে যোগ দেন ভিনিসিউস। মাঝে মধ্যে ঝলক দেখালেও ধারাবাহিকতার অভাব ছিল তার খেলায়। ফিনিশিংয়েও দুর্বলতা ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু ২০২১-২২ মৌসুমে তাকে দেখা যায় ভিন্ন রুপে।
রিয়ালের লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে ভিনিসিউসের ছিল গুরুত্বপূর্ণ অবদান। লিভারপুলের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে তার গোলেই জেতে রিয়াল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫২ ম্যাচে ২২ গোল করেন তিনি, নামের পাশে অ্যাসিস্ট ছিল ১৬টি।
ইউরোপের পাঁচটি শীর্ষ লিগে গোল ও অ্যাসিস্ট মিলিয়ে তার চেয়ে এগিয়ে ছিলেন কেবল চার জন - এমবাপে (৬০), করিম বেনজেমা (৫৯), ক্রিস্টোফা এনকুকু (৫১) ও মোহামেদ সালাহ (৪৬)।
চলতি বছরের ব্যালন ডি’অর জেতার লড়াইয়ে অবশ্য আলোচনায় নেই ভিনিসিউস। এই খেতাব জয়ের সম্ভাবনায় সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন তার ক্লাব সতীর্থ বেনজেমা।
তবে আগামী বছর ব্যালন ডি’অরের লড়াইয়ে ভালোভাবেই থাকতে পারেন ভিনিসিউস। বেটফেয়ারে নিজের কলামে বৃহস্পতিবার ব্রাজিলের ২০০২ বিশ্বকাপজয়ী তারকা লিখেছেন, সময়ের সেরাদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবেন ভিনিসিউস।
“(নতুন) মৌসুম এখনও শুরু হয়নি, তাই (ব্যালন ডি'অর জেতার জন্য) ফেভারিটদের নাম বলা কঠিন, তবে আমি তাকে (ভিনিসিউস) কিলিয়ান এমবাপে, কেভিন ডে ব্রুইনে এবং অন্যদের পেছনে দেখছি না। চূড়ান্ত বিজয়ী নির্বাচনে প্রতিটি ক্লাব যেসব শিরোপা জিতবে তা খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে।”
রিভালদো মনে করেন, উন্নতি ধরে রাখতে পারলে ভবিষ্যতে রিয়ালের আক্রমণের নেতা হতে পারেন ভিনিসিউস।
“রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে একটি দুর্দান্ত মৌসুমের পর, যেখানে সে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে গোল করেছিল, আমি কেবল আশা করতে পারি এই তরুণ ব্রাজিলিয়ান একইভাবে তার উন্নতি অব্যাহত রাখবে।”
“গোলের সামনে সে অনেক উন্নতি করেছে এবং সে যদি এভাবে চালিয়ে যায়, তাহলে সে নিজেকে রিয়াল মাদ্রিদের তারকা বলে দাবি করতে পারবে। কারণ, করিম বেনজেমা একদিন অবসর নেবে।”