কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম আবাহনীকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে সাইফ স্পোর্টিং। বিজয়ীদের জোড়া গোল করেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, একটি করে গোল এমেকা ওগবাহ ও এমেরি বাইসেঙ্গের। চট্টগ্রাম আবাহনীর তিন গোলদাতা ওমিদ পোপালজাই, অগাস্টিন ক্যান্ডি ও পেটার থ্যাঙ্কগড।
১৬ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠেছে সাইফ স্পোর্টিং। ২৬ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে চট্টগ্রাম আবাহনী।
শুরু থেকে পোস্ট আগলে খেলতে থাকা দুই দল সুযোগও তৈরি করতে থাকে। বিরতির আগে যদিও কাজে লাগাতে পারে কেবল সাইফ স্পোর্টিং।
নবম মিনিটে ভালো সুযোগ পায় তারা। জামাল ভূঁইয়ার ফ্রি কিকে ছয় গজ বক্সে রিয়াদুল হাসান রাফির হেড অল্পের জন্য ক্রসবারের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।
ত্রয়োদশ মিনিটে চট্টগ্রাম আবাহনীকে হতাশ করেন গোলকিপার মিতুল হাসান। বাঁ প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন ক্যান্ডি। নাইজেরিয়ান এই ফরোয়ার্ডের কাট ব্যাকে থ্যাঙ্কগডের শট পোস্ট ছেড়ে বের হয়ে এসে আটকে দেন মিতুল।
৩২তম মিনিটে সহজ সু্যোগ নষ্ট করেন থ্যাংকগড। ক্যান্ডির নিচু ক্রস বক্সের ভেতরে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে শট নিলেও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি নাইজেরিয়ার এই ফরোয়ার্ড।
বিরতির আগ মূহূর্তে গোলের দেখা পায় সাইফ। বাঁ দিক থেকে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের নিচু ক্রসে গোলমুখ থেকে নিখুঁত টোকায় লক্ষ্যভেদ করেন এমেকা ওগবাহ। তার গায়ের সঙ্গে সেঁটে থাকলেও আটকাতে পারেননি কেহিন্দে ইসা।
৫৭তম মিনিটে সমতার স্বস্তি ফিরে চট্টগ্রাম আবাহনীর তাঁবুতে। বল নিয়ে বক্সে ঢোকা ক্যান্ডি দুই ডিফেন্ডারকে ডজ দিতে ব্যর্থ হওয়ার পর গোলমুখে কাট ব্যাক করেন, ডাইভিং হেডে লক্ষ্যভেদ করেন আফগান মিডফিল্ডার পোপালজাই।
৬৪তম মিনিটে এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। সাইফের এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জায়গা করে নিয়ে ডান পায়ের শটে দুরের পোস্টে বল জালে জড়ান ক্যান্ডি। চার মিনিট বাদেই দলটির শোয়েব মিয়ার শট সাইডবারে লেগে ফিরে আসে।
দুই মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে ঘুরে দাঁড়ায় সাইফ স্পোর্টিং। ৭২তম মিনিটে বদলি নামা নিহাত জামান উচ্ছাসের বাড়ানো পাসে দূরের পোস্টে পা লাগিয়ে জাল খুঁজে নেন ফাহিম। ৭৪ মিনিটে জামাল ভুইয়ার বুদ্ধিদ্বীপ্ত পাসে বাঁ দিক দিয়ে ঢুকে বাম পায়ের জোরাল শটে দলকে এগিয়েও নেন এই ফরোয়ার্ড।
৮৬তম মিনিটে স্পট কিক থেকে চট্টগ্রাম আবাহনীকে সমতায় ফেরান থ্যাঙ্কগড। নাইজেরিয়ান এই ফরোয়ার্ডকে বক্সে গোলরক্ষক মিতুল ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি।
নাটকীয়তার তখনও বাকি। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে ফাহিমকে বক্সে গোলরক্ষক বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় সাইফ। বাইসেঙ্গে স্পট কিকে লক্ষ্যভেদ করলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আন্দ্রেয়াস ক্রুসিয়ানির দল।
রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে দিনের অন্য ম্যাচে ওবায়দুর রহমান নবাবের একমাত্র গোলে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘকে হারিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। স্বস্তির জয়ে ১৬ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে অবনমন অঞ্চল থেকে বেরিয়ে দশম স্থানে উঠে এসেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। ৬ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে আছে স্বাধীনতা সংঘ।