পুরনো ওই গুঞ্জনে নতুন করে হাওয়া দিয়েছেন ফরাসি ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি নোয়েল লু গেরেত। ধেয়ে আসা সমালোচনা মেনে না নিতে পেরেই তখন অবসরের সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলেন পিএসজি ফরোয়ার্ড। এতে বেজায় চটেছেন এমবাপে।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স গত বছরের ইউরো ২০২০-এ ফেভারিট হিসেবে শুরু করেছিল। কিন্তু সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে শেষ ষোলো থেকে ছিটকে যায় তারা। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ৩-৩ গোলে ড্রয়ের পর টাইব্রেকারে হেরে যায় ফরাসিরা। তাদের হয়ে শেষ পেনাল্টিটি মিস করেছিলেন এমবাপে।
আসরে দলের চার ম্যাচে একটিতেও গোলের দেখা না পাওয়া এবং পেনাল্টি শুট আউটের ওই ব্যর্থতার পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন এমবাপে। দিদিয়ে দেশমের দলের ব্যর্থতার জন্য দায়ী করা হচ্ছিল ২৩ বছর বয়সী তারকাকেই।
ওই ঘটনায় রাগ বা অভিমান যেটাই হোক না কেন, আগেভাগে অবসর নেওয়ার কথা সত্যিই ভেবেছিলেন এমবাপে। গত বছর একটি সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেই তা বলেছিলেন। কেননা, দলের সব ব্যর্থতার দায় তার একার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন অবশ্য বর্ণবাদের বিষয়টি উল্লেখ করেননি তিনি।
নতুন করে বিষয়টি আলোচনায় উঠেছে রোববার ফ্রান্সের একটি সাময়িকীর সংবাদে। সেখানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফরাসি ফুটবলের প্রধান লু গেরেত মন্তব্য করেছেন, তীব্র সমালোচনার কারণেই জাতীয় দলকে বিদায় জানাতে চেয়েছিলেন এমবাপে।
টুইটারে লু গেরেতের মন্তব্যের জবাবে এমবাপে লিখেছেন, সভাপতি যা বলেছেন তা সত্য নয়।
“আমি তাকে স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করেছিলাম যে বিষয়টি বর্ণবাদের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং (ইউরোয়) পেনাল্টি বিষয়ক নয়। তবে বর্ণবাদের কোনো ঘটনা সেখানে ছিল বলে মানতেই চাননি তিনি।”
ইউরোর পর কাতার বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব ও নেশন্স লিগসহ ফ্রান্সের হয়ে ৯টি ম্যাচ খেলেছেন এমবাপে। ফ্রান্সের জার্সিতে এখন পর্যন্ত ৫৭ ম্যাচ খেলে ২৭টি গোল করেছেন তিনি।