কুয়ালা লামপুরের বুকিত জলিল জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় মাঠে গড়াবে ম্যাচটি।
গত দুই ম্যাচে মালয়েশিয়ার জয় ও হার একটি করে; তুর্কমেনিস্তানকে ৩-১ গোলে হারানোর পর বাহরাইনের কাছে ২-১ ব্যবধানে হারে তারা। অন্যদিকে দুই ম্যাচেই হার বাংলাদেশের; বাহরাইন (২-০) ও তুর্কমেনিস্তানের (২-১) বিপক্ষে হেরে যাওয়া ম্যাচে কাবরেরার দলের প্রাপ্তি কেবল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলা। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৩৪ ধাপ এগিয়ে থাকা মালয়েশিয়া বাধা পেরুনোর জন্য যা যথেষ্ট নয় মোটেও।
তাছাড়া ম্যাচটি জামাল-জিকোদের খেলতে হবে স্বাগতিকদের মাঠে, মালয়েশিয়ার সমর্থকদের সামনে। যদিও কাবরেরা এতে ঘাবড়াচ্ছেন না। বরং বাংলাদেশ কোচের মনে হচ্ছে, সমর্থকদের কারণে চাপে থাকবে মালয়েশিয়াই।
“আমাদের ওপর কোনো চাপ নেই। সব চাপ মালয়েশিয়ার ওপর। তারা তাদের ঘরের মাঠে খেলবে, র্যাঙ্কিংয়েও এগিয়ে, এশিয়ান কাপে খেলার সুযোগ তাদের সামনে। আবারও বলছি আমাদের সামনে দারুণ সুযোগ, এটাই সঠিক সময় দেখানোর যে আমরা যে কারও বিপক্ষে লড়তে পারি। আমরা ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে লড়তে চাই।“
প্রীতি ম্যাচে ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে ড্র এবং বাছাইয়ের প্রথম দুই ম্যাচে লড়াকু ফুটবল খেলার পর কাবরেরা এবার আরও আশাবাদী।
“একটা কথা বলতে চাই, আমাদের সত্যি ভালো একটা ফল প্রাপ্য। আমাদের সমর্থকদের ভালো একটা ফল উপহার দিতে চাই। ভালো একটা ফল নিয়ে দেশে ফিরতে চাই, দেশকে কিছু একটা উপহার দিতে চাই। আমরা আমাদের সুযোগের ওপর ভরসা রাখতে চাই। কাল আমরা আমাদের সেরাটাই উপহার দেব।”
“খুব অল্প সময়ের ভেতর দুটি ম্যাচ খেলায় আমাদের খেলোয়াড়দের সুস্থতার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হচ্ছে। তাদের সঙ্গে কথা বলছি, সব কিছু শেয়ার করছি, দলের ভালোর জন্য সঠিক সিদ্ধান্তটাই নিতে হচ্ছে। তবে সৌভাগ্য যে দলের সবাই খেলার জন্য প্রস্তুত আছে।”
ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ থেকে বেশ গোছালো ফুটবল খেলছে বাংলাদেশ। রক্ষণ জমাট রাখার পাশাপাশি আক্রমণেও উঠছে দল। লড়াকু মনোভাবের স্ফুরণ দেখা যাচ্ছে ইব্রাহিম-সাজ্জাদদের পারফরম্যান্সে। তেতে থাকা দল নিয়ে তাই বাছাইয়ের শেষটা রাঙাতে আশাবাদী কাবরেরা।
“আমরা সবসময়ই জিততে চাই, সব সময়ই এটা আমাদের লক্ষ্য। কিন্তু জিততে হলে খেলায় আমাদের ধারাবাহিক হতে হবে। প্রতিটা জায়গাতেই ধারাবাহিক হতে হবে। মালয়েশিয়া তাদের সর্বস্ব দিয়ে লড়বে। শুরুর সেকেন্ড থেকেই তারা আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। শুরুর ১০ মিনিটে তারা ম্যাচটা শেষ করে দিতে চাইবে। আমাদের গোল করতে হবে, মনোযোগ ধরে রাখতে হবে, তাদের ঠেকিয়ে রেখে তাদের ভুলের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।”