বাংলাদেশের ভাবনায় ‘কুইক কাউন্টার অ্যাটাক’

আগের ম‍্যাচে খেলা ফুটবলারদের দিলেন ধাক্কা সামলে ওঠার সুযোগ। অন‍্যদের নিয়ে জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরা সারলেন অনুশীলন। সেখানে গুরুত্ব পেল প্রতি আক্রমণ নির্ভর ফুটবলের কৌশল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 June 2022, 10:09 AM
Updated : 9 June 2022, 10:09 AM

মালয়েশিয়ার কুয়ালা লামপুরে আগামী শনিবার এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে তুর্কমেনিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই দুই দলেরই বাছাইয়ের শুরুটা হয়েছে হার দিয়ে। বাহরাইনের কাছে বাংলাদেশ ২-০ গোলে এবং স্বাগতিক মালয়েশিয়ার কাছে ৩-১ গোলে হারে তুর্কমেনিস্তান।

মালয়েশিয়া-তুর্কমেনিস্তান ম্যাচ দেখেছে বাংলাদেশ। সেই দেখা থেকে দলটির খেলোয়াড়দের শারীরিক গড়ন, উচ্চতা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে দলকে। বাহরাইন ম্যাচেও সেট পিস থেকে প্রথম গোল হজম করেছিল বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) মাধ্যমে পাঠানো ভিডিও বার্তায় কাবরেরার সহকারী হাসান আল মামুনও জানালেন রক্ষণ ও সেট-পিস নিয়ে আরও কাজ করার কথা।

“আমরা জানি, আমাদের থেকে প্রতিপক্ষরা কতটা শক্তিশালী এবং কোন পর্যায়ের দল। তাই এই দিকটাতেই আমরা মনোযোগ দিচ্ছি যে, আমরা সবসময় ‘লো ব্লকে’ থেকে খেলব এবং খেলার আরও উন্নতি করার চেষ্টা করব। শুধু নিচে নেমে রক্ষণ সামলানোই নয়, আমরা চাচ্ছি দ্রুত প্রতি-আক্রমণে উঠতে, যেটা আপনারা বাহরাইনের বিপক্ষে ম্যাচে দেখেছেন। আমরা চাই, অনেক খেলোয়াড় আক্রমণে অংশগ্রহণ করুক।”

“আমরা জানি তুর্কমেনিস্তান শক্তিশালী দল, তাদের খেলোয়াড়দের শারীরিক গঠন প্রায় বাহরাইনের খেলোয়াড়দের মতো। এ কারণে সেট-পিস নিয়ে কাজ করেছি, আরও করব। মার্কিংয়ে আমাদের উন্নতি হয়েছে, এ দিকে আরও কাজ করতে হবে। শুধু ফরোয়ার্ড লাইন নয়, আমরা চাইছি দ্বিতীয় লাইন থেকে খেলোয়াড় উঠে গিয়েও যেন আক্রমণে অংশ নেয়। প্রতিপক্ষকে চমকে দিতে চাই, প্রান্ত বদলিয়ে আক্রমণে উঠব।”

দুই গোল খেলেও বাহরাইনের বিপক্ষে ডিফেন্ডারদের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তোষ জানিয়েছিলেন কাবরেরা। ইয়াসিন আরাফাত অবশ্য কোচের প্রশংসায় ভেসে যাচ্ছেন না। বৃহস্পতিবার পিকেএনএস স্পোর্টস গ্রাউন্ডে অনুশীলনের ফাঁকে এই ডিফেন্ডার জানালেন উন্নতির ধারা ধরে রাখাই লক্ষ্য তাদের।

“পরের ম্যাচের জন্য আমরা তৈরি হচ্ছি। একজন ডিফেন্ডার হিসাবে বলব, বাহরাইনের বিপক্ষে আমাদের প্রত্যাশা আরও বেশি ছিল। পরের ম্যাচে আরও ভালো করার সুযোগ আমাদের আছে। গত ম্যাচে আমরা সেট-পিসে গোল হজম করেছি, এছাড়া রক্ষণে জমাট ছিলাম। সব মিলিয়ে দল কমপ্যাক্ট ছিল, কিন্তু সেট পিসে গোল খেয়েছি…কী করার আছে।”

“পরের ম্যাচে যদি ভালো কিছু করতে চাই, তাহলে আমাদের আরও ভালো করতে হবে। (বাহরাইন ম্যাচের পর) কোচ সবকিছু ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ওরা র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা দল, স্বাভাবিকভাবে আধিপত্য করবে।’ আমরা যেভাবে খেলতে চেয়েছিলাম, প্রথমার্ধে সেভাবে পারিনি। দ্বিতীয়ার্ধে পেরেছি। যদি দ্বিতীয়ার্ধের মতো পারফরম্যান্স প্রথমার্ধে করতে পারতাম, তাহলে ভিন্ন কিছু হতে পারত। মালয়েশিয়া-তুর্কমেনিস্তানের খেলা আমরা দেখেছি। ওদের শক্তি, দুর্বলতা খুঁজে বের করে সে অনুযায়ী আমরা পরিকল্পনা করব এবং খেলার চেষ্টা করব।”