২০১০ সালে দেশের হয়ে অভিষেকের পর থেকে ক্রমেই ব্রাজিলের মূল তারকা হয়ে ওঠেন নেইমার। পরে সময়ের পরিক্রমায় তিনি এখন সময়ের সেরা ফুটবলারদের একজন। ব্রাজিলের আগের কোচদের মতো তিতেও দল সাজান সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডকে কেন্দ্র করে।
ব্যক্তিগতভাবে পারফরম্যান্সের দিক থেকে তাতে বেশ ভালোভাবেই সফল নেইমার। এখন পর্যন্ত ১১৮ ম্যাচ খেলে দেশের হয়ে ৭৩টি গোল করেছেন। ব্রাজিলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলস্কোরারের তালিকায় তার ওপরে আছেন একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ জেতা ফুটবল কিংবদন্তি পেলে (৭৭ গোল)।
তবে বড় মঞ্চে এখনও ব্রাজিলের হয়ে তেমন কোনো সাফল্যের দেখা পাননি নেইমার। তার সেরা সাফল্য অলিম্পিকে সোনার পদক জেতা ও কোপা আমেরিকার শিরোপা। ২০১৪ ও ২০১৮ বিশ্বকাপে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়দের ভরাডুবির পেছনে অনেকেই দায়ী করেন নেইমারের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতাকে।
আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলতে নেইমাররা এখন আছেন জাপানে। আগামী সোমবার টোকিওতে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে শুরু হবে জাপান ও ব্রাজিলের ম্যাচটি।
এই ম্যাচকে সামনে রেখে রোববার সংবাদ সম্মেলনে এক পর্যায়ে তিতের কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল, নেইমারের ওপর নির্ভরতা নিয়ে। ৬১ বছর বয়সী এই কোচ দৃঢ়তার সঙ্গে বললেন, তারা এখন নেইমার বা আক্রমণের কোনো খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভরশীল নন।
“আমি দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলের দায়িত্বে আছি এবং এই সময়ে আমি অনেক ভুল করেছি। কিছু ভালো সিদ্ধান্তও নিয়েছি।”
“আমাদের একটি নতুন প্রজন্ম উঠে আসছে এবং আমি একটি ভালো কাজ করেছি, তা হলো অনেক খেলোয়াড়কে ঝালিয়ে দেখা। আমরা এখন আক্রমণের একজন খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভরশীল দল নই।”
গত বছর টোকিওতে হওয়া অলিম্পিকে ফুটবলে সোনার পদক জিতেছিল ব্রাজিল। ওই দলের দুই সদস্য ফরোয়ার্ড রিশার্লিসন ও মিডফিল্ডার ব্রুনো গিমারেস এখন ব্রাজিল দলেরও গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এছাড়া দলটির আক্রমণে আছেন রিয়াল মাদ্রিদের দুই তরুণ ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস জুনিয়র ও রদ্রিগো।