আনচেলত্তির সঙ্গে যেখানে তিতের মিল দেখেন ভিনিসিউস

বছরের বেশিরভাগ সময় কাটে রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তির সঙ্গে কাজ করে। আন্তর্জাতিক বিরতিতে ব্রাজিল জাতীয় দলে যোগ দিয়ে পান তিতের সঙ্গ। অভিজ্ঞ এই দুই কোচের মধ‍্যে একটা জায়গায় দারুণ মিল দেখেন ভিনিসিউস জুনিয়র। তরুণ এই ফরোয়ার্ড বললেন, দুই কোচই তাকে আত্মবিশ্বাস এবং কাজের স্বাধীনতা দেন।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 June 2022, 04:27 PM
Updated : 5 June 2022, 04:27 PM

খেলোয়াড়দের বছরের বেশিরভাগ সময় কাটে ক্লাবে। জাতীয় দলে খেলতে হয় মাঝে মধ্যে। তাই ক্লাব থেকে জাতীয় দলে এসে কোচ ও খেলোয়াড়দের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সমস্যা হয় অনেক সময়। তবে রিয়াল কোচ আনচেলত্তি ও ব্রাজিল কোচ তিতের কোচিংয়ের ধরন একই বলে সমস্যা হয় না বলে মনে করেন ভিনিসিউস।

আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে সোমবার জাপানের মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। এর আগের দিন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ভিনিসিউস বলেন, ক্লাবের মতো জাতীয় দলেও কাজটা একইরকম।

রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তির সঙ্গে ভিনিসিউস জুনিয়র

“পার্থক্য হলো ক্লাবে আমরা প্রতিদিন অনুশীলন করি। জাতীয় দলে প্রত্যেকের সঙ্গে আমরা মাত্র ১০ দিন কাটাতে পারি। বিভিন্ন খেলোয়াড়ের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে হয়…রিয়াল মাদ্রিদের মতো এখানেও বিষয়টা একই। ভালোভাবে রক্ষণ সামলাতে হবে, কম গোল হজম করতে হবে এবং বেশি গোল করতে হবে।” 

“আনচেলত্তি সবসময় আমাকে আত্মবিশ্বাস দেন, জাতীয় দলের কোচ আলাদা নন, তারও একই ধরন রয়েছে, তিনিও আত্মবিশ্বাস এবং স্বাধীনতা দেন। মাঠে তিনি যা চান, তাই করেন।”

রিয়ালের হয়ে ২০২১-২২ মৌসুম দারুণ কেটেছে ভিনিসিউসের। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও লা লিগার সঙ্গে জিতেছেন সুপার কাপ শিরোপা। ১৭ গোল করে লা লিগার তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে লিভারপুলের বিপক্ষে একমাত্র গোলটি করেন তিনিই। করিম বেনজেমার সঙ্গে মিলে গড়ে তুলেছেন দারুণ এক আক্রমণ জুটি।

আগামী নভেম্বরে কাতারে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপ সামনে রেখে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রীতি ম্যাচগুলো খেলছে ব্রাজিল। প্রথম ম্যাচে তারা দক্ষিণ কোরিয়াকে উড়িয়ে দেয় ৫-১ গোলে। তবে বিশ্বকাপে কঠিন চ্যালেঞ্জ দেখছেন ভিনিসিউস।  

“যখন বিশ্বকাপ আসে, এটি আলাদা। মাত্র এক মাসে দেখতে হবে কে সেরা অবস্থায় থাকবে, আমরা আমাদের সেরা অবস্থায় থাকতে চাই। যারা ব্রাজিলের প্রধান প্রতিপক্ষ রয়েছে, তাদের পর্যালোচনা করছে খেলোয়াড়রা। ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন, অনেক ফেভারিট দল আছে।”