কঠিন চ্যালেঞ্জ জয়ের প্রস্তুতি জিকো-রানা-নাঈমদের

প্রীতি ম্যাচ ও এশিয়ান কাপের বাছাই মিলিয়ে সামনের চার ম্যাচের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়েও তারা এগিয়ে বাংলাদেশের চেয়ে। স্বাভাবিকভাবে গোলরক্ষকদের জন্য অপেক্ষা করছে কঠিন চ্যালেঞ্জ। জাতীয় দলের গোলকিপিং কোচ বিপ্লব ভট্টাচার্যর বিশ্বাস, নিজেদের অন্য উচ্চতায় তোলার সুযোগ কাজে লাগাবেন জিকো-রানারা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 May 2022, 02:29 PM
Updated : 30 May 2022, 02:29 PM

ইন্দোনেশিয়ার বাংদুংয়ে সি জালাক হারুপাত স্টেডিয়ামে সোমবার প্রস্তুতি সেরেছে দল। হালকা চোটের কারণে এ দিন মিডফিল্ডার সোহেল রানা অনুশীলন করেননি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

দলে গোলরক্ষক তিন জন-আনিসুর রহমান জিকো, আশরাফুল ইসলাম রানা ও মোহাম্মদ নাঈম। ১৭ মে থেকে শুরু হওয়া ক্যাম্পে ছিলেন রানা ও নাঈম। বসুন্ধরা কিংসের হয়ে এএফসি কাপ শেষ করে জিকো যোগ দিয়েছেন। ইন্দোনেশিয়াতে গিয়ে দলের সঙ্গে প্রথম অনুশীলন করেছেন তিনি। বাফুফের মাধ্যমে পাঠানো ভিডিও বার্তায় এই গোলরক্ষক জানিয়েছেন, সামনের চ্যালেঞ্জ অনুভব করছেন তারা।

“প্রীতি ম্যাচ ও বাছাই মিলিয়ে সামনে আমাদের চারটা ম্যাচ আছে। বাছাইয়ে আমাদের গ্রুপে যে তিনটি দল আছে, তারা সবাই শক্তিশালী। ইন্দোনেশিয়া ম্যাচও চ্যালেঞ্জিং হবে। এখানে আমাদের গোলকিপারদের বড় দায়িত্ব আছে। বড় দলগুলোর বিপক্ষে গোলরক্ষকদেরই বেশি দায়িত্ব পালন করতে হয়, ডিফেন্ডারদেরও ভালো করতে হয়। যদি আমরা আমাদের জায়গা থেকে শতভাগ দিতে পারি, তাহলে বাছাইয়েও ভালো করতে পারব, ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষেও ভালো করতে পারব।”

৮ জুন কুয়ালা লামপুরে শুরু হতে যাওয়া বাছাইয়ের তিন প্রতিপক্ষই ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে বাংলাদেশের (১৮৮তম) চেয়ে; বাহরাইন (৮৯), তুর্কমেনিস্তান (১৩৪) ও স্বাগতিক মালয়েশিয়া (১৫৪) । ১ জুনের প্রীতি ম্যাচের প্রতিপক্ষ ইন্দোনেশিয়াও (১৫৯তম) এগিয়ে।

গোলকিপিং কোচ বিপ্লব জানিয়েছেন জিকো-রানাদের মধ্যে ঠিকঠাক প্রস্তুত করতে ট্রেনিং সেশনগুলো সেভাবে সাজানো হয়েছে। কঠিন চ্যালেঞ্জ জিতে নিজেদের নতুন উচ্চতায় তোলার সুযোগও কাজে লাগানোর আশা করছেন তিনি।

“গোলরক্ষকদের প্রস্তুত করার জন্য আমরা অনেকটা সময় পেয়েছি। ১৭ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত আমরা (ঢাকায়) বেশ কয়েকটা সেশন করেছি। জিকো পরে যোগ দিয়েছে। প্রতিটি সেশন ভালো ছিল, গোলরক্ষকরা কঠোর পরিশ্রম করেছে। আমরা মনে করি, আমাদের যে চার প্রতিপক্ষ, তারা সবাই ভালো মানের। এই চারটা ম্যাচ গোলরক্ষকদের জন্য নিজেদেরকে অনেক উঁচ্চতায় নেওয়ার সুযোগ।”

“প্রতিপক্ষ দলগুলোকে যদি দেখি…তাদের বিপক্ষে ম্যাচগুলোয় আমাদের গোলরক্ষকদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ থাকবে। এই চ্যালেঞ্জের কথা ভেবেই আমরা প্রতিটি সেশন সেভাবে তৈরি করেছি, যেন গোলরক্ষকরা ভালো পারফরম্যান্স করে, টিমের জন্য সেরাটা দেয়। এসব ম্যাচ একজন গোলরক্ষককে সেরা খেলা খেলতে হবে। প্রতিটি মিনিট যেন তারা বেটার ফুটবল খেলে, মনোযোগী থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা ট্রেনিং সেশন সাজিয়েছি। আমার বিশ্বাস, গোলরক্ষকরা তাদের সেরাটা দিবে এবং দলের জন্য ভালো কিছু নিয়ে আসবে।