স্বস্তির জয়ে সিটিকে চাপে রাখল লিভারপুল

তিন মিনিটেই গোল হজম করল লিভারপুল। সমতায় ফিরতেও সময় নিল তিন মিনিট। এগিয়ে যাওয়া গোলের দেখা তারা পেল ঘণ্টাখানেক পর। বাকিটা সময় নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দিয়ে পুরো তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। তাতে ম্যানচেস্টার সিটিকে চাপে রাখার পাশাপাশি শিরোপা লড়াই জমিয়েও রাখল তারা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 May 2022, 09:03 PM
Updated : 10 May 2022, 09:06 PM

অ্যাস্টন ভিলার মাঠ থেকে মঙ্গলবার রাতে ২-১ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছে লিভারপুল। শীর্ষে থাকা সিটির সমান ৮৬ পয়েন্ট তাদের। তবে ক্লপের দল এক ম্যাচ বেশি খেলছে।

আগের ম্যাচে টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে ১-১ ড্র করে লিগ শিরোপার দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছিল তারা। অ্যাস্টন ভিলার ম্যাচে শুরুতে পিছিয়ে পড়ায় শঙ্কার মেঘ উঁকি দিয়েছিল। জোয়েল মাতিপ ও সাদিও মানের গোলে সে মেঘ উড়িয়ে দিয়েছে তারা।

তারকা ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহকে বেঞ্চে রেখে শুরুর একাদশ সাজান লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। আক্রমণের দায়িত্ব পড়ে মানে, দিয়েগো জটা ও লুইস দিয়াসের কাঁধে। কিন্তু তারা নিজেদের মেলে ধরার আগেই লিভারপুলের রক্ষণে চাপ দিয়ে গোল আদায় করে নেয় অ্যাস্টন ভিলা।

তৃতীয় মিনিটে ওলি ওয়াটকিন্সের শট আলিসন ফেরানোর পরের আক্রমণ থেকে এগিয়ে যায় স্টিভেন জেরার্ডের দল। লুকাস দিনিয়ের ক্রসে লুইসের হেড ফেরালেও গ্লাভসে জমাতে পারেননি আলিসন। আলগা বল ফিরতি শটে জালে উড়িয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার লুইস।

পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা অবশ্য দ্রুতই সামলে নেয় লিভারপুল। তিন মিনিট পর ট্রেন্ট অ্যালেক্সান্ডার-আর্নল্ডের ক্রস ঠিকঠাক ক্লিয়ার করতে পারেননি অ্যাস্টন ভিলার টাইরন মিঙ্গস এবং এরপর বল চলে যায় ভার্জিল ফন ডাইকের পায়ে। ডাচ এই ডিফেন্ডার নিচু ক্রস বাড়ান ছোট ডি-বক্সে। নিখুঁত টোকায় সুযোগ কাজে লাগান মাতিপ।

আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণের এই উত্তাপ অবশ্য টিকেনি বেশিক্ষণ। সমতায় ফেরার পর থেকে একটু একটু করে বলের নিয়ন্ত্রণ ও আক্রমণে আধিপত্য করতে থাকে লিভারপুল।

১৯তম মিনিটে পেনাল্টি স্পটের কাছাকাছি থেকে সাদিও মানের হেড পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। ৩২তম মিনিটে দিয়াসের পাসে মানে বল জাল জড়ালেও গোল হয়নি। সতীর্থকে পাস দেওয়ার সময়ই অফসাইডে ছিলেন দিয়াস।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে অ্যালেক্সান্ডার-আর্নল্ডের ফ্রি কিক পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। ৬৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় লিভারপুল। মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের লং পাস ধরে বক্সে আড়াআড়ি ক্রস বাড়ান দিয়াস, ফ্লিক হেডে জাল খুঁজে নেন মানে। গত ফেব্রুয়ারির পর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সেনেগালের এই ফরোয়ার্ডের গোল হলো ১২টি।

৭২তম মিনিটে দিয়াসকে তুলে সালাহকে নামান ক্লপ। লিভারপুলের আক্রমণের গতি বাড়ে। কিন্তু মাতিপের হেড, নাবি কেইতার শট পারেনি ব্যবধান বাড়াতে।

শেষ দিকে ড্যানি ইঙ্গস জোরালো কোনাকুনি শটে লিভারপুলের জালে বল জড়িয়েছিলেন। কিন্তু এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড আগে থেকেই অফসাইডে থাকায় হয়নি গোল। তাতে শুরুর চমককে শেষ পর্যন্ত পূর্ণতা দিতে পারেনি অ্যাস্টন ভিলা।

৩৫ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে একাদশ স্থান আছে অ্যাস্টন ভিলা।