চলতি মৌসুমে বেশ কবারই দলের ত্রাতা হয়েছেন রদ্রিগো। ২১ বছর বয়সী উইঙ্গার বেশ কিছু ম্যাচেই মাঠে নামার পর ঘুরিয়ে দিয়েছেন মোড়। তবে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে বুধবার ছাড়িয়ে গেছেন যেন আগের সবকিছুকেই।
দ্বিতীয়ার্ধের মাঝমাঝি সময় যখন মাঠে নামেন রদ্রিগো, রিয়াল তখন ফিরতে মরিয়া। কিন্তু কাজ হচ্ছিল না কিছুতেই। ৮৯ মিনিট পর্যন্তও দুই লেগ মিলিয়ে দুই গোলে পিছিয়ে দল। দুই মিনিটের মধ্যেই সেই ব্যবধান ঘুচিয়ে দিলেন রদ্রিগো। দুটি গোল করে সমতা ফিরিয়ে ম্যাচ বয়ে নিলেন অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে করিম বেনজেমার গোলে রিয়ালের স্মরণীয় জয়।
ম্যাচের পর রদ্রিগো বললেন, মাঠে নামার সময় কোচ কার্লো আনচেলত্তি প্রেরণা জোগান তাকে।
“আমি কিছুটা নার্ভাস ছিলাম। বেঞ্চে বসে থাকার সময়টা কখনোই খুব সুখকর নয়। তবে বেঞ্চ থেকেই মনোযোগ দিয়ে দেখছিলাম, ওদের রক্ষণে দুর্বলতা কোথায় আছে।”
“আনচেলত্তি আমাকে বললেন, ‘যাও, গিয়ে গোল করো।’ সেমি-ফাইনালের মতো ম্যাচে দুটি গোল করে রিয়াল মাদ্রিদকে ফাইনালে তুলতে পারায় খুবই খুশি আমি। এটাই আমাদের সত্যিকারের জায়গা-ফাইনাল।’
ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোসের ১৭ বছর বয়সী তরুণ প্রতিভাকে অনেক আশা নিয়ে দলে এনেছিল রিয়াল। সময়ের সঙ্গে সম্ভাবনার পূর্ণতা দেওয়ার পথে ছুটে চলেছেন রদ্রিগো। ক্লাবের মানসিকতার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন পুরোপুরি, ধারণ করেছেন ক্লাবের চেতনা। এজন্যই তিনি হাল ছাড়েননি শেষ পর্যন্ত।
“এই জার্সি সবসময় শিক্ষা দেয় শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে যেতে। আমাদের আশা প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এই জার্সি আমাদের প্রেরণা জোগায় শেষ সেকেন্ড পর্যন্ত হাল না ছাড়তে।”
“সতীর্থরা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। ৯০ মিনিটে প্রথম গোল করার পর চারপাশের কোনো কিছু কানে আসছিল না, কারণ তখনও আমরা পিছিয়ে। এরপর যা হলো, বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। বের্নাবেউয়ের রাত সবসময়ই এমন জাদুকরি। এই দলের অংশ হতে পেরে আমি খুবই খুশি।”