লন্ডনে মারাদোনার জার্সিটি নিলামে তুলেছিল নিলামকারী প্রতিষ্ঠান সাদারবিস। ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার ছিল বিডিংয়ের শেষ দিন। ক্রেতার নাম অবশ্য প্রকাশ করা হয়নি।
এর আগে ক্রীড়াজগতে ম্যাচে পরা কোনো জার্সির নিলামে সর্বোচ্চ মূল্য উঠেছিল ৫৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার। ২০১৯ সালে নিউ ইয়র্ক ইয়াঙ্কিজ কিংবদন্তি বেব রুথের বেসবল জার্সি এই দামে বিক্রি হয়।
একই বছর নিউ ইয়র্কে হাতে আঁকা অলিম্পিক ইশতেহার নিলামে ৮৮ লাখ ডলারে বিক্রি হয়। এতদিন নিলামে বিক্রি হওয়া সবচেয়ে দামি ক্রীড়া স্মরক ছিল সেটি।
মারাদোনা তার এই জার্সিটি পরেছিলেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। আর্জেন্টিনার ২-১ ব্যবধানে জেতা ম্যাচটিতে মারাদোনার করা দুটি গোলই স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে ইতিহাসের পাতায়।
২০২০ সালের নভেম্বরে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান মারাদোনা। বিতর্কিত ওই গোল নিয়ে তিনি বলেছিলেন, “গোলটি মারাদোনার সামান্য মাথা এবং ইশ্বরের সামান্য হাত দিয়ে করা।”
মারাদোনার বিখ্যাত সেই জার্সিটির মালিক ছিলেন ইংল্যান্ডের সাবেক মিডফিল্ডার স্টিভ হজ। ম্যাচের পর যিনি আর্জেন্টাইন তারকার সঙ্গে জার্সি অদল-বদল করেছিলেন।
২০০২ সাল থেকে এটি ইংল্যান্ডের জাতীয় জাদুঘরে রাখা ছিল। গত ৬ এপ্রিল সাদারবিস জার্সিটি নিলামে তোলার ঘোষণা দেয়।
তবে নিলাম ঘোষণার পরই ছড়ায় বিতর্ক। একদিন পরই মারাদোনার মেয়ে দালমা দাবি করেন, এটি তার বাবার সেই বিখ্যাত দুই গোলের সময় পরা জার্সি নয়।
মারাদোনার মেয়ের দাবি, হজের কাছে থাকা জার্সিটা পরে মারাদোনা খেলেন প্রথমার্ধে। দ্বিতীয়ার্ধে ওই দুই গোল করার সময় এই জার্সি তিনি পরেননি।
তবে নিলামকারী প্রতিষ্ঠান জানায়, তারা বৈজ্ঞানিক গবেষণা করে নিশ্চিত হয়েছে যে, দ্বিতীয়ার্ধে মারাদোনার দুই গোল করার সময় পরা জার্সিই এটি।