সেই ছুটে চলায় রিয়ালের সামনে এখন আরেকটি বড় পরীক্ষা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগর সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে ম্যানচেস্টার সিটির মুখোমুখি হবে আনচেলত্তির দল।
খেলার গতিময়তা, ধারাবাহিকতা আর শক্তির গভীরতা মিলিয়ে ম্যাচের আগে হয়তো কিছুটা এগিয়ে থেকে নামছে ম্যানচেস্টার সিটি। খেলাও তাদের মাঠেই। তবে ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে আনচেলত্তি মনে করিয়ে দিলেন, অনেককে ভুল প্রমাণ করেই এই পর্যায়ে উঠে এসেছে রিয়াল ও ভিয়ারিয়াল। আরেকবার না পারার কারণ তিনি দেখেন না।
“আমার অবশ্যই মনে আছে, মৌসুমের শুরুতে ফুটবল পন্ডিতরা কী বলাবলি করছিলেন। দুটি দল সেমি-ফাইনালে খেলছে, যাদের পক্ষে বাজি ধরার লোক খুব একটা ছিল না, আমরা ও ভিয়ারিয়াল।”
“আন্ডারডগ হিসেবে এই পর্যন্ত আসতে পেরেছে এই দুই দল। রিয়াল হারিয়েছে পিএসজি ও গতবারের চ্যাম্পিয়ন চেলসির মতো ফেবারিট দলকে। ভিয়ারিয়াল ছিটকে দিয়েছে ইউভেন্তুস ও বায়ার্ন মিউনিখকে। আমি তো সবসময়ই বলে আসছি, প্রতিপক্ষ যে-ই হোক, রিয়াল কখনোই লড়াইয়ে পিছপা হয় না।”
রিয়াল মাদ্রিদ লড়াইয়ে হাল ছাড়ে না, এটা এবারের আসরেই দেখিয়েছে পিএসজি ও চেলসির বিপক্ষে। খাদের কিনারা থেকে তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছে প্রবল বিক্রমে। আনচেলত্তির মতে, গৌরবময় ইতিহাস রিয়ালের ফুটবলারদের প্রেরণা জোগায় যে কোনো সংকট-বিপর্যয়ে।
“এই টুর্নামেন্টে ১৩ ট্রফি জয়ের ইতিহাস আমাদের জন্য কাজটা সহজ করে দিয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এই জার্সির ওজন ছেলেরা অনুভব করে ইতিবাচকভাবে। ছেলেরা এটা মনে করে যে ওদের অসাধ্য কিছু নেই, যেভাবে ওরা পেছন থেকে ফিরে এসেছে পিএসজি ও চেলসির বিপক্ষে। রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসের মূল্য আমাদের কাছে অনেক, প্রতিপক্ষের চেয়েও বেশি কিছু।”
কোচের কথার সঙ্গে কণ্ঠ মেলালেন রিয়াল মাঝমাঠের ভরসাদের একজন ফেদে ভালভেরদে।
“এই জার্সি গায়ে চাপিয়ে মাঠে নামলে সবকিছু জয়ের তাড়না থাকে এবং এই উপলব্ধি কাজ করে যে, আমরাই ফেবারিট, তা লোকে যা মনে করুক না কেন। এটা যেমন বড় দায়িত্ব, তেমনি বাড়তি সুবিধাও, কারণ রিয়াল মাদ্রিদ বলেই লোকে ভিন্ন চোখে দেখে।”
আসরের আরেক সেমি-ফাইনালে বুধবার ভিয়ারিয়াল খেলবে লিভারপুলের বিপক্ষে ।