জাফরের গোলে হার এড়াল মোহামেডান

শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের লড়াইয়ে যেন বারেবারে ফিরে এলো প্রথম পর্ব। সেবার পিছিয়ে থেকে শেষ সময়ের গোলে সমতায় ম‍্যাচ শেষ করেছিল শেখ রাসেল। ফিরতি পর্বে জাফর ইকবালের গোলে সেটাই করে দেখাল মোহামেডান।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 April 2022, 12:10 PM
Updated : 25 April 2022, 12:12 PM

কিংস অ্যারেনায় রোববার দুই দলের ম্যাচটি ১-১ ড্র হয়েছে। লিগের প্রথম পর্বের দেখায় একই স্কোরলাইনে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছিল শেখ রাসেল ও মোহামেডান।

চলতি লিগে এ নিয়ে ষষ্ঠ ড্র করা মোহামেডান ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে। পঞ্চম ড্র করা শেখ রাসেল ১১ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম।

শুরু থেকে শেখ রাসেলের রক্ষণে বেশ চাপ দিতে থাকে মোহামেডান। ষষ্ট মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে প্রথমবার শট নিতে ব্যর্থ হলেও দমে যাননি সুলেমানে দিয়াবাতে, দুই ডিফেন্ডারের কড়া পাহারার মধ্যেও পরেরবার জোরাল শট নেন, কিন্তু এক জনের গায়ে লেগে বল অল্পের জন্য বাইরে দিয়ে যায়।

পঞ্চদশ মিনিটে দিয়াবাতের ক্রসে সাহেদ মিয়ার হেড ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়। পরের মিনিটেই পাল্টা আক্রমণে ওঠা শেখ রাসেলের হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাসের বাঁকানো শট আঙুলের টোকায় ক্লিয়ার করে গোলরক্ষক সুজন হোসেন।

২০তম মিনিটে চার্লস দিদিয়েরের ক্রস বক্সে ফাঁকায় পেয়ে যান মোহাম্মদ জুয়েল। প্রথম ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দেখে শুনে ঠাণ্ডা মাথায় জোরাল শটে দলকে এগিয়ে নেন তিনি। চলতি লিগে এটি তার চতুর্থ গোল।

শেখ রাসেলের বিপক্ষে প্রথম পর্বের ম্যাচে মোহামেডানকে ২৩তম মিনিটে এগিয়ে নিয়েছিলেন দিয়াবাতে।

৩৬ মিনিটে ম্যাচে ফেরার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন সাহেদ মিয়া। সতীর্থের কাছ থেকে পাওয়া বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন। প্রথম দফায় তার চিপ আশরাফুল রানা এগিয়ে এসে ঠেকালে আবারও শট নেন, কিন্তু শটে ছিল না গতি, সহজেই আটকান রানা।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে একটু দুরূহ কোণ থেকে সাহেদের শট আটকে আবারও শেখ রাসেলের ত্রাতা রানা। প্রথমার্ধের শেষ দিকে জুয়েল শট নিতে পারেননি মোহামেডান গোলরক্ষক সুজন পথ আগলে দাঁড়ানোয়। পরে হেমন্তের শটেও যায় বাইরে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বদলি নামা দিপকের শট পোস্টে লেগে ফিরলে ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে পারেনি শেখ রাসেল। ফিরতি শটও লক্ষে রাখতে পারেননি হেমন্ত।

৮০ মিনিটে দশ জনের দলে পরিণত হয় মোহামেডান। বক্সের বাইরে ‘ওয়ান অন ওয়ান’ পরিস্থিতিতে রিচার্ড গাদজেকে ফাউল করে লালকার্ড দেখেন সুজন।

কোণঠাসা মোহামেডানই ঘুরে দাঁড়ায় ৮৮তম মিনিটে। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা জাফর ডিফেন্ডার সাদউদ্দিনের বাঁধা কাটিয়ে নিখুঁত শটে সমতা ফেরান।

প্রথম পর্বে শেষ মুহূর্তে সমতায় ফিরেছিল শেখ রাসেল। ৮৪তম গোলটি করেছিলেন আইজার আখমেতভ।

দিনের অন্য ম্যাচে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম আবাহনীকে গোলশূন্য ড্রয়ে রুখে দিয়েছে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটি।

রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে পুলিশ এফসিকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে সাইফ স্পোর্টিং।

এই ড্রয়ে শিরোপা লড়াই থেকে আরও পিছিয়ে পড়ল চট্টগ্রাম আবাহনী। ১২ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে চতুর্থ স্থানে। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে সাইফ স্পোর্টিং।