ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে বায়ার্নের টানা দশম শিরোপা 

শিরোপার হাতছানিতে মাঠে নেমে প্রথমার্ধেই দুই গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিল বায়ার্ন মিউনিখ। পরে ব্যবধান কমিয়ে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড লড়াইয়ের সম্ভাবনা জাগালেও প্রতিপক্ষের দাপুটে পারফরম্যান্সের সঙ্গে পেরে উঠল না। টানা দশমবারের মতো লিগ শিরোপা ঘরে তুলল রেকর্ড চ্যাম্পিয়নরা। 

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 April 2022, 06:27 PM
Updated : 23 April 2022, 07:09 PM

আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় শনিবার শিরোপা লড়াই জিইয়ে রাখতে জয়ের বিকল্প ছিল না ডর্টমুন্ডের সামনে। তবে তেমন কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারেনি তারা। ৩-১ গোলের জয়ে তিন ম্যাচ হাতে রেখে চ্যাম্পিয়ন হলো ইউলিয়ান নাগেলসমানের দল।

সের্গে জিনাব্রি বায়ার্নকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রবের্ত লেভানদোভস্কি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এমরে কান ব্যবধান কমানোর পর শেষ দিকে জামাল মুসিয়ালা জালে বল পাঠিয়ে জয় নিশ্চিত করেন।  

গত কয়েক রাউন্ড ধরে শিরোপা লড়াইটি মূলত ছিল এই দুই দলের মধ্যে। সেখানে এবার ডর্টমুন্ডের চেয়ে ১২ পয়েন্টে এগিয়ে গেল বায়ার্ন।

১৯৬৩ সালে বুন্ডেসলিগা শুরুর পর থেকে এই নিয়ে ৩১ বার চ্যাম্পিয়ন হলো বায়ার্ন। আর সব মিলিয়ে জার্মানির লিগ জিতল তারা ৩২ বার।

ম্যাচের পঞ্চদশ মিনিটে লক্ষ্যে প্রথম শট নিয়েই এগিয়ে যায় বায়ার্ন। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল ডর্টমুন্ড ডিফেন্ডাররা ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে ডি-বক্সের বাইরে পেয়ে যান জিনাব্রি। ঠাণ্ডা মাথায় বল ধরে জোরাল শটে গোলটি করেন জার্মান মিডফিল্ডার।

২৯তম মিনিটে আবারও জালে বল পাঠান জিনাব্রি। তবে তাকে পাস দেওয়া কিংসলে কোমান অফসাইডে থাকায় ভিএআরে মেলেনি গোল। ব্যবধান দ্বিগুণ হতে অবশ্য দেরি হয়নি।

পাঁচ মিনিট পর প্রতিপক্ষের ভুলের সুযোগে স্কোরলাইন ২-০ করে স্বাগতিকরা। নিজেদের সীমানায় ডর্টমুন্ড ডিফেন্ডার ডেন-এক্সল জেগেড বল তুলে দেন প্রতিপক্ষের পায়ে। এরপর সতীর্থের পা হয়ে বল পেয়ে ডি-বক্সে থ্রু পাস দেন টমাস মুলার আর আগুয়ান গোলরক্ষকের দুই পায়ের মধ্যে দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন লেভানদোভস্কি।

আসরে পোলিশ তারকার মোট গোল হলো ৩৩টি। তালিকায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ গোল বায়ার লেভারকুজেনের ফরোয়ার্ড পাত্রিক শিকের।

সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে এই নিয়ে বুন্ডেসলিগায় টানা আট হোম ম্যাচে জালের দেখা পেলেন লেভানদোভস্কি। জার্মানির শীর্ষ লিগের ইতিহাসে আর কেউ কোনো এক দলের বিপক্ষে টানা এত ম্যাচে গোল করতে পারেনি। 

লড়াইয়ে ফিরতে যা দরকার ছিল, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সেই গোল পেয়ে যায় ডর্টমুন্ড। ৫২তম মিনিটে নিখুঁত স্পট কিকে ব্যবধান কমান এমরে কান। মার্কো রয়েসকে ডি-বক্সে ডিফেন্ডার জসুয়া কিমিখ ফাউল করলে পেনাল্টিটি পায় সফরকারীরা।

দুই মিনিট পরই ব্যবধান ঘুচে যেতে পারত। তবে আর্লিং হলান্ডের পাস ধরে দুরূহ কোণ থেকে রয়েসের নেওয়া শট প্রতিহত হয় রক্ষণে। ৬৮তম মিনিটে গোলমুখ থেকে ওয়ান-অন-ওয়ানে লেভানদোভস্কির শট দারুণ রিফ্লেক্সে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক মারউইন হিটস।

৮৩তম মিনিটে সব অনিশ্চয়তার ইতি টানেন জিনাব্রির বদলি নামা মুসিয়ালা। বক্সে জটলার মধ্যে বল পেয়ে হাঁটু দিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জালে পাঠান ১৯ বছর বয়সী জার্মান মিডফিল্ডার।

৩১ ম্যাচে ২৪ জয় ও তিন ড্রয়ে বায়ার্নের পয়েন্ট হলো ৭৫। সমান ম্যাচে ডর্টমুন্ডের পয়েন্ট ৬৩। 

জার্মান কাপ থেকে অনেক আগেই ছিটকে পড়া বায়ার্ন এ মাসেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে হেরে বসে শক্তির বিচারে অনেক পিছিয়ে থাকা ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে। বুন্ডেসলিগা জয়ের মধ্যে দিয়ে সেই হতাশায় কিছুটা হলেও প্রলেপ দিতে পারল নাগেলসমানের দল।